৭ পৌষ থেকে টানা ছয়দিন ধরে মেলায় মানুষের ঢল নামায় পূর্বপল্লীর মাঠ কার্যত আনন্দ উল্লাসে উৎসবমুখর হয়ে ওঠে। হস্তশিল্পের স্টল থেকে লোকসংগীত, নৃত্য ও নানা সাংস্কৃতিক পরিবেশনা সব মিলিয়ে পৌষমেলায় এবারও সেই চেনা ছন্দ। মেলা শেষ হতেই মন খারাপের আবহ বিশ্বভারতীর পড়ুয়া থেকে শুরু করে প্রাক্তনী, হস্তশিল্পী ও ব্যবসায়ীদের মধ্যেও। আবার এক বছর অপেক্ষার পালা। তবে ব্যবসায়ীদের দাবি, ‘চার দিনের বদলে ছয় দিনের মেলায় বিক্রি হয়েছে ভাল।’
advertisement
আরও পড়ুন: পিঠে-পুলির মরশুমে ব্যাপক দাম বাড়ার আশঙ্কা নলেন গুড়ের! জোড়া কারণে মাথায় হাত ব্যবসায়ী থেকে ক্রেতাদের
প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে মেলা তোলা নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছিল। নির্ধারিত সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরও স্টল ও জায়গা দখল করে রাখার অভিযোগ উঠেছিল একাংশ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে। সেই অভিজ্ঞতা মাথায় রেখেই এবছর ভাঙামেলা নিয়ে কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ ও বীরভূম জেলা পুলিশ প্রশাসন। বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের দাবি, চার দিনের বদলে এবার ছয় দিনের মেলা করা হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের পরে ভাঙামেলা চালানোর কোনও সুযোগ নেই। জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের পঠন-পাঠন ও সেমিস্টার পরীক্ষা শুরু হতে চলেছে। ফলে পড়ুয়াদের সুবিধার কথা মাথায় রেখে ১ জানুয়ারির মধ্যেই পূর্বপল্লীর মাঠ পরিষ্কার করে ফেরত পেতে চাইছে বিশ্বভারতী।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
পূর্ব প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়ে মেলার মাঠ খালি করতে তৎপর বীরভূম জেলা পুলিশ প্রশাসনও। পুলিশ প্রশাসনের তরফ থেকে জানানো হয়েছে ছয় দিনে মেলায় নানা অপরাধমূলক কাজকর্মের অভিযোগে ৫০ জনকে গ্রেফতার ও ৩৫০ জনকে আটক করা হয়েছে। ধৃতদের বিরুদ্ধে চুরি-সহ নানা অভিযোগ রয়েছে। বোলপুরের মহকুমা পুলিশ আধিকারিক রিকি আগরওয়াল জানান, “রবিবার রাতের মধ্যেই সকল ব্যবসায়ীকে মাঠ খালি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সারা দিন ধরে মাইকিং করে তা জানানো হয়েছে।” পাশাপাশি প্রশাসনিক আধিকারিকরাও এসে হাতজোড় করে ব্যবসায়ীদের আবেদন জানিয়েছেন নির্দিষ্ট সময় মতো সবকিছু বন্ধ করে পরিষ্কার করে দেওয়ার জন্য। সেই মতো এই দিন সকাল থেকেই পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে মেলার স্টল বন্ধের জন্য তৎপরতা শুরু হয়ে গিয়েছে।






