সুগন্ধি চালের চাষ করেছে বীরভূমের নলহাটি বাসিন্দা দীপক দাস।অন্যান্য ধানের পাশে আট কাঠা জমিতে সুগন্ধি ধানের চাষ করেছেন।জৈব সার ব্যবহারে করে এই ধান চাষ হয়।অন্যান্য ধানের চেয়ে এই ধান আকারের ছোট।এই ধানের ফলন কম হলেও, এর চাহিদা বেশি।স্থানীয় ভাষা এটা মৌরী খাসা ধান বলে পরিচিতি থাকলেও বাজারে এটা গোবিন্দ ভোগ চাল বলেও বিক্রি হয়।বাজার দরও বেশ ভালই।বিশেষত কোনও উৎসবে পায়েস বা ভোগের জন্য এই সুগন্ধি চালের ব্যবহার বেশি হয়।দীপক দাস প্রায় ১৫ বছর ধরে এই ধান চাষ করে চলেছেন।তার জমির ধান দেখে এলাকার কিছু কিছু চাষিসুগন্ধী ধান চাষ করতে শুরু করেছে।
advertisement
তিনি জানান এই ধান চাষ করতে দুই ধরনের বীজ এর ব্যবহার করা হয়। স্বর্ণা এবং মিহি ধান এর বীজ একত্রিতভাবে মিশ্রণ করে জমিতে ছড়াতে হয়। অন্যান্য ধান চাষের থেকে এই ধান চাষের উৎপাদন কম হলেও আয়ের পরিমাণ থাকে খরচেরদ্বিগুণ। আনুমানিক ৮ কাঠা জমিতে যদি ৮০০০ টাকা খরচহয়ে থাকে, তাহলে সেই চাল বিক্রি করে উপার্জন হয়ে থাকে প্রায় ২৪ হাজার টাকা।উপার্জনের মাত্রা বেশি হওয়ায় এখন অনেক কৃষক এই ধান চাষের দিকে মন দিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: West Bardhaman News: সমবায় ব্যবহারে সচেতন ও সঠিক ব্যবহারে চাঙ্গা হবে গ্রামীণ অর্থনীতি, মিলবে একাধিক সুবিধা
আরও পড়ুন: Hooghly News: ঠাকুর শ্রীরামকৃষ্ণ মামার বাড়ি আজও আগের মতই! বছরের এই বিশেষ সময়ে ভিড় জমে বহু মানুষের
এই ধানগাছে রোগের প্রাদুর্ভাবও কম।রাসায়নিক সারের প্রয়োজনীয়তাও অনেক কম।এর বীজ আনা হয় বিভিন্ন ধান্য গবেষণা কেন্দ্র থেকে।আউশ বা আমনের পাশাপাশি সুগন্ধি ধানের চাষে লাভ নিশ্চিত বলে মনে করছেন কৃষি বিশেষজ্ঞরা।বিভিন্ন অনুষ্ঠানে গোবিন্দভোগ চালের ব্যবহার রয়েছে।বাজারে এর চাহিদাও যথেষ্ট।দামও যথেষ্ট বেশি।তাছাড়া এই ধানের ঝড়, জলে ঝরে যাওয়ার প্রবণতা কম।সেদিক থেকেও লাভবান হন চাষিরা।
সৌভিক রায়