পুলিশ সুপার জানান, ব্যারেজে আরও ক্ষতি এড়াতে ভারী গাড়ির উপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। ইঞ্জিনিয়ারদের সঙ্গে যোগাযোগের পরই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, “গতকাল থেকেই আমরা ওয়ান ওয়ে মুভমেন্ট শুরু করেছিলাম। আজকে কিছুটা ড্যামেজের খবর পাওয়ার পরই গুডস ভেহিকেলের উপর সম্পূর্ণ রেস্ট্রিকশন জারি করেছি। ডিএম সাহেবকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে এবং আনুষ্ঠানিকভাবে নোটিফিকেশনও জারি হবে।”
advertisement
বৃষ্টি পড়লে ফ্রিজের তাপমাত্রা কেমন হওয়া উচিত? খাবারও থাকে জীবাণুমুক্ত, মেশিনও ঠিকঠাক চলে!
জানানো হয়েছে, বিকল্প রুট নির্ধারণের কাজ শুরু হয়েছে এবং রুট ডাইভারশনের জন্য স্থানীয় ট্রাক ও বাস অ্যাসোসিয়েশনের সঙ্গে আলোচনা চলছে। পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ ইতিমধ্যেই দূর থেকে যানবাহন ঘুরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করেছে। যে সমস্ত গাড়ি ব্যারেজের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিল, তাদেরকেও সেখান থেকেই ফেরত পাঠানো হচ্ছে।
উল্লেখ্য, উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের মধ্যে সংযোগকারী অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কপথে যান চলাচল ব্যাহত হওয়ায় সাধারণ মানুষ ও পণ্য পরিবহণকারী সংস্থাগুলি চরম সমস্যার মুখে পড়েছে।
সূত্রের খবর, সম্প্রতি ঝাড়খণ্ড ও বীরভূমে টানা বৃষ্টির ফলে ম্যাসাঞ্জোর ও তিলপাড়া জলাধার থেকে ময়ূরাক্ষী নদীতে ক্রমাগত জল ছাড়া হচ্ছে। যার ফলে নদীর জলস্তর বেড়ে গিয়ে ব্যারেজের ওপর প্রবল চাপ সৃষ্টি করছে। ইতিমধ্যেই ব্যারেজে একাধিক ফাটল ছিল, যার কিছু অংশে সংস্কারকাজ চলছিল। তবে প্রবল জলস্রোতের কারণে সেই কাজও বন্ধ হয়ে যায়। সেচ দফতরের দাবি, পুরনো ক্ষতিগ্রস্ত অংশগুলিই এখন বড় বিপদের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
সুদীপ্ত গড়াই