বিশ্বভারতীতে আগত পর্যটক থেকে শুরু করে প্রাক্তনীরা চাইছিলেন শান্তিনিকেতনের কলাভবন চত্বরে ঐতিহ্যের কালোবাড়ি ফিরুক নতুন রূপে। সেই কারণে বর্ষার আগেই কলাভবনের শিল্পীরা শুরু করেন সংস্কারের কাজ। কিন্তু প্রবল বর্ষায় থমকে যায় সংস্কারের কাজ। এখন শীতের মিঠে রোদে ভিজে দেওয়াল শুকিয়েছে। ভাঙা অংশ জোড়া লেগেছে। নতুন মাটি-আলকাতরার গন্ধ মিশেছে কলাভবনের বাতাসে ও শান্তিনিকেতন চত্বরজুড়ে।
advertisement
নন্দন মেলার শেষদিনেই সম্পূর্ণ রূপ পেল কালোবাড়ি। অধ্যাপক বলেন, “এ যেন পুরনো বন্ধুকে ফের জীবিত করে তোলার মতো। মার্চে কাজ শুরু হলেও প্রয়োজনের থেকে বেশি বৃষ্টিপাত বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তবুও উপাচার্যের তত্ত্বাবধানে পুরো কাজ শেষ করতে পেরেছি, যা দেখে দেশ-বিদেশের পর্যটকরা খুশি হবেন।”
কলাভবনের পড়ুয়ারদের কথায়, “কালোবাড়ির ভাস্কর্যের গায়ে হাত বোলাতেই মনে হচ্ছে, যেন মরে যাওয়া গাছ আবার নিঃশ্বাস নিচ্ছে। এতদিন অধ্যাপকদের থেকে শুনেছি ঐতিহ্যের কথা। নিজের হাতে কাজ করতে পারা সকলের সৌভাগ্য।” নন্দন মেলায় আগত পর্যটকের চোখে বিস্ময়, এই কি সেই পুরনো জরাজীর্ণ বাড়ি? এই শীতে শান্তিনিকেতন গেলে অবশ্যই এই বাড়ি ঘুরে আসতে পারেন। ছুঁয়ে দেখতে পারেন কালোবাড়ির ঐতিহ্য।






