আর সেই কারণেই কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে পুলিশ প্রশাসনের তরফ থেকে৷ বিশ্বভারতী সূত্রে জানা গিয়েছে, এখনও পর্যন্ত ১৩০০ স্টলের প্লট বুক হয়ে গিয়েছে। আর তাই দূষণের মাত্রা বৃদ্ধির সম্ভাবনাও থাকছে৷ তাই পরিবেশ আদালতের নির্দেশ মেনে দূষণ নিয়ন্ত্রণেও বিশেষ নজর দিচ্ছে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: মডেলিংয়ে কেরিয়ার গড়ার বিরাট সুযোগ, অপেক্ষা করছে অঢেল আয়! স্বপ্নপূরণের ঠিকানা এবার পুরুলিয়া
advertisement
বোলপুরের এসডিপিও রিকি আগরওয়াল জানিয়েছেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, এসডিপিও, ডিএসপি পদমর্যাদার অফিসারদের নেতৃত্বে প্রায় ২৫০০ পুলিশ কর্মী পৌষমেলার সম্পূর্ণ নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন ৷ এর মধ্যে থাকছে মহিলা পুলিশ ও র্যাফ, বিশেষ উদ্ধারকারী দল৷ ইভটিজিং ও কেপমারির মতন ঘটনা রুখতে সাদা পোশাকের পুলিশ, অ্যান্টি ক্রাইম টিম। যানজট নিয়ন্ত্রণে পর্যাপ্ত সিভিক ভলান্টিয়ার নিযুক্ত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন এসডিপিও। বোলপুর-শান্তিনিকেতন জুড়ে প্রায় ২০০ টি স্থায়ী সিসিটিভি ক্যামেরা রয়েছে। বিশেষ প্রতিনিধি দল সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে সমস্ত ঘটনার নজর রাখবেন।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
বোলপুর শান্তিনিকেতনের ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলার পূর্বপল্লির মাঠ ও তার প্রবেশ পথগুলিতে নজরদারির জন্য অতিরিক্ত ৩০০টি অস্থায়ী সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হচ্ছে৷ পাঁচটি উন্নতমানের ড্রোন ক্যামেরার মাধ্যমেও মেলায় নজরদারি চালানো হবে। মেলায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি পুলিশ কন্ট্রোল রুম থাকছে৷ এই কন্ট্রোল রুমের তত্ত্বাবধানে প্রায় ৩৬টি পুলিশ সহায়তা কেন্দ্র থাকছে মাঠ ও প্রবেশ পথে। এর পাশাপাশি ১০ টি ওয়াচ টাওয়ার থাকছে৷ সেই ওয়াচ টাওয়ার থেকে সর্বত্র নজরদারি চালানো হবে। থাকছে কুইক রেসপন্স টিম৷ চাইল্ড ফ্রেন্ডলি কর্নার তৈরি করা হয়েছে মেলা প্রাঙ্গণে। এক কথায় কঠোর নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে পৌষ মেলা প্রাঙ্গণ।





