বর্তমানে বক্রেশ্বর মহাশ্মশানে মূলত কাঠ ও কয়লার চুল্লিতেই দাহকার্য সম্পন্ন হয়। দাহের পর অবশিষ্টাংশ, ছাই এবং অন্যান্য বর্জ্য পদার্থ সরাসরি বক্রেশ্বর নদীতে ফেলা হচ্ছে বলে অভিযোগ। দীর্ঘদিন ধরে এই প্রক্রিয়া চলার ফলে নদীর জল ক্রমশ দূষিত হয়ে পড়ছে। স্থানীয়দের দাবি, এর ফলে পরিবেশ যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, তেমনই পবিত্র নদীর স্বাভাবিক বাস্তুতন্ত্রও বিপন্ন হয়ে উঠছে।
advertisement
উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, শ্মশানে দাহ করার জন্য নির্দিষ্ট জায়গা থাকলেও বহু মানুষ এখনও নদীগর্ভেই মৃতদেহ দাহ করছেন। এর জেরে দিনের পর দিন নদীদূষণের মাত্রা বাড়ছে। বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন প্রশাসন জেলা পরিষদের উদ্যোগে বক্রেশ্বর নদীর ধারে শ্মশানে একটি বার্নিং শেড বা ছাদ-ঢাকা চুল্লি নির্মাণের কাজ শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই সেই কাজ প্রায় শেষের পথে। তবে সাধারণ মানুষের মতে, শুধুমাত্র ছাদ-ঢাকা চুল্লি নয়, এখানে বৈদ্যুতিক চুল্লি স্থাপন করা অত্যন্ত জরুরি।
বক্রেশ্বর মন্দির উন্নয়ন সেবা সমিতির সদস্য দেবনাথ মুখার্জি জানান, “দূরদূরান্ত থেকে মৃতদেহ দাহ করার জন্য বক্রেশ্বর মহাশ্মশানে আনা হয়। কিন্তু এখনও পর্যন্ত এখানে কাঠ-কয়লার চুল্লিতেই দাহ করতে হয়। বৈদ্যুতিক চুল্লির কোনও ব্যবস্থা নেই। একটি সেট তৈরির কাজ চলছে, কিন্তু এখানে যে পরিমাণ মৃতদেহ আসে, তার তুলনায় তা মোটেই পর্যাপ্ত নয়।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
তিনি আরও বলেন, শ্মশানের পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্য বড় আকারের বৈদ্যুতিক চুল্লির পাশাপাশি পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা, শ্মশান পর্যন্ত যাওয়া রাস্তায় স্ট্রিট লাইট, পানীয় জলের ব্যবস্থা এবং শৌচালয় নির্মাণ অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। বর্তমানে শ্মশানে কোনও শৌচালয় না থাকায় মৃতের পরিবার ও আগত মানুষেরা চরম অসুবিধার মুখে পড়ছেন।





