বীরভূম ও মুর্শিদাবাদের সীমান্তে ছোট্ট একটি জনপদ। মুর্শিদাবাদের খড়গ্রাম সাবডিভিশনের এক টুকরো গঞ্জ এলাকা। গ্রামের ভেতর দিয়ে নিজের ছন্দে বয়ে গেছে ব্রাহ্মণী নদী। আর ব্রাহ্মণী নদীর পাশে অবস্থিত সেই গাঁয়ের নাম টিঠিডাঙা। আনন্দ উল্লাসের সঙ্গে হাজার খানেক লোকের বসবাস। সুন্দর এক প্রাকৃতিক কোলাহলে গ্রামের দৃশ্য যেন আপনার মন মুগ্ধ করে দেবে। বীরভূমের সীমানা এলাকার গ্রাম যেখান দিয়ে নদী আপন বেগে এঁকেবেঁকে বয়ে গেছে। আর এই বর্ষাকালে নদীর জল বাড়লে যা চিন্তার কারণ হয়। সে তো গেল সমস্যার কথা, কিন্তু গ্রামটি যেই জন্য বারংবার খবর থেকে শুরু করে আলোচনার শিরোনামে উঠে এসেছে, সে কারণ বড়ই বিচিত্র।
advertisement
এই টিঠিডাঙা এমন একটি গ্রাম, যা একই সঙ্গে দুই জেলায় অবস্থিত। বাংলার একমাত্র গ্রাম যা দুই জেলার সীমানায় অবস্থিত। এই গ্রামের একদিক বীরভূম, অন্যদিক মুর্শিদাবাদ। চমকের শেষ এখানেই নয়। এই একটি মাত্র গ্রাম যেখানে একই সঙ্গে রয়েছে তিনটি বিধানসভা কেন্দ্র, দুটি লোকসভা ও চারটি থানা। সেই চারটি থানা হলও মারগ্রাম, নলহাটি, নবগ্রাম এবং খরগ্রাম। দুটি লোকসভার মধ্যে একটি হলও বীরভূম লোকসভা অন্যটি জঙ্গিপুর লোকসভা। অন্যদিকে বিধানসভা গুলি হল হাসন, খরগ্রাম এবং নবগ্রাম।
ভৌগোলিক সীমান্তের জটিলতার কারণে এই টিঠিডাঙা গ্রামে এখনও সার্বিক উন্নয়ন হয়নি। চারটি থানার মধ্যে তালগোল পাকিয়ে ফেলতেন একসময় গ্রামবাসীরা। গাঁয়ের বয়স্করা বলছেন, আজ থেকে কয়েক বছর আগে কোনও সমস্যা হলে কোন থানায় যেতে হবে তা ঠাহর করা যেত না অনেকসময়েই। সেক্ষেত্রে ব্লক নম্বর দেখে সিদ্ধান্ত নিতে হতো। এ থানা, ও থানা ঘুরতে ঘুরতেই দিন কেটে যেত। তবে বর্তমানে কিছুটা হলেও সেই সমস্যার সমাধান হয়েছে।
— সৌভিক রায়





