ইতিমধ্যেই এই ঘটনার মূল অভিযুক্ত সঞ্জীব ঘোষকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রবিবার সাংবাদিক বৈঠক করে জেলা পুলিশ সুপার আমনদ্বীপ জানান, অভিযুক্তকে হেফাজতে নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। পাশাপাশি, এই ঘটনায় কার মদতে অবৈধ খাদান চলছিল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তিনি বলেন, “জেলায় ঠিক কতগুলি অবৈধ খাদান চলছে তা চিহ্নিত করতে সার্ভে শুরু হয়েছে। সিভিল প্রশাসন, ল্যান্ড ডিপার্টমেন্ট ও পুলিশ যৌথভাবে কাজ করছে। যেখানেই অবৈধ খাদান ধরা পড়বে, কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে।”
advertisement
আরও পড়ুন: মহিলা ঢাকিদের বাজার রমরমা! জেলায় জেলায় পড়ছে ডাক, বুকিং করতে চাইলে এক্ষুনি ছুটে যান ‘এই’ গ্রামে
ধসের কারণ নিয়ে উঠছিল বিস্ফোরণের অভিযোগ। তবে তা উড়িয়ে দিয়ে বীরভূম জেলা পুলিশ সুপার স্পষ্ট জানান, নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকাই দুর্ঘটনার মূল কারণ। তাঁর কথায়, “দুর্ভাগ্যজনকভাবে সুরক্ষা ও সেফটি মেনে চলা হয়নি। তাই প্রাণহানি ঘটেছে।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
সূত্রের খবর, বীরভূমে প্রায় ২০০টি খাদান থাকলেও বৈধ মাত্র ৬টি। বাকিগুলির সবকটি অবৈধভাবে চলছে বলে অভিযোগ। পুলিশ সুপার আশ্বাস দিয়েছেন, সামনে আরও জোরদার অভিযান চালিয়ে বেআইনি খাদান সম্পূর্ণরূপে বন্ধ করার উদ্যোগ নেওয়া হবে। পুলিশ সুপারের এমন আশ্বাসে এখন অনেকেই আশার আলো দেখছেন। আশা করছেন নলহাটির ঘটনায় যেমন কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে, ঠিক সেই রকমই আগামীদিনে হয়ত এই ধরনের ঘটনা ঠেকানো যাবে।