গোটা গ্রামে মোট মন্দির সংখ্যা প্রায় তিন শতাধিক। এই মন্দিরগুলির প্রত্যেকটি তৈরী হয়েছে তুবড়ি ইঁট দিয়ে। এবং প্রতিটি মন্দিরের চূড়াও তৈরী হয়েছে তুবড়ি ইঁট ও চুন-সুরকি দিয়ে খিলান পদ্ধতিতে। তুবড়ি ইটের ব্যবহার থেকে। অনুমান করা হয় এই মন্দিরগুলির বয়স আনুমানিক কিছু না হলেও ৫০০ বছর। এবং সব মন্দির গুলি একই সময়ে তৈরী হয়েছে।
advertisement
কথিত রয়েছে, হেতমপুর ও রাজনগরে রাজাদের রাজত্ব চলাকালীন কড়িধ্যা বর্ধিষ্ণু জনপদ হিসেবে পরিচিত ছিল। এই গ্রামের মধ্যে দিয়েই গিয়েছে রাজনগরের রাজপথ, যা এখনও বর্তমান। বর্গী আক্রমনের সময়, রাজনগরের রাজাদের সঙ্গে বর্গীদের যুদ্ধ বাঁধে। কড়িধ্যা থেকে কিছুটা দূরে রাজারপুকুর, নগরী ও সংলগ্ন মাঠ হয়ে উঠেছিল যুদ্ধ ক্ষেত্র।
জানা যায়, বর্গীরা যেসমস্ত জনপদ দিয়ে যেত, সেই সমস্ত জনপদ থেকে তারা খাবার বা রসদ সংগ্রহ করতো, যাতে তারা পরবর্তী লড়াইটা চালিয়ে নিয়ে যেতে পারে। তাই যুদ্ধ ক্ষেত্র লাগোয়া গ্রামের উপর বর্গীরা চড়াও হয়ে খাবার বা রসদ জোগাড় করত। গ্রামের উপর বর্গী আক্রমন রুখতে কৌশল নেন রাজা রামরাম সেন। তিনি গ্রামবাসীদেরকে পরামর্শ দেন এই শিব মন্দির প্রতিষ্ঠা করার।
আরও পড়ুন: ভ্যাপসা গরম, দু’দিন যেতে না যেতেই কালো হয়ে যাচ্ছে কলা? এইভাবে রাখলে ৭ দিন পরেও দিব্যি থাকবে টাটকা
কোথাও শিব মন্দির দেখলে সেই গ্রামে তারা হানা দিত না। রাম রাম সেনের কথামতো এই মন্দিরগুলি প্রতিষ্ঠা করে কড়িধ্যা গ্রামের বাসিন্দারা। আর সেই বুদ্ধি বা কৌশল কাজেও লাগে এই শিব মন্দিরগুলি স্থাপন করার পর আর কড়িধ্যায় হানা দেয়নি বর্গীরা।
সেই মন্দিরগুলি থেকে গিয়েছে আজও অনেক মন্দির স্থানীয় বাসিন্দাদের উদ্যোগে সংস্কার করা হলেও, কিছু মন্দির ভগ্নপ্রায় দশাতেই থেকে গিয়েছে আজও। তবে নিত্যপুজো দেওয়া হয় প্রায় সব মন্দিরেই।
সৌভিক রায়