দ্বাদশ শতকের কবি জয়দেবের নামেই এই স্থানের নামকরণ। ইতিহাস বলছে, বর্ধমানের মহারাজা কীর্তিচাঁদ বাহাদুর আনুমানিক ১৮৮৩ সালে এই মন্দির প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। প্রায় ৪০০ বছরের পুরনো এই স্থাপত্যের গায়ে টেরাকোটার সূক্ষ্ম শিল্পে ফুটে উঠেছে কৃষ্ণলীলা, পৌরাণিক কাহিনি ও দেবদেবীর মূর্তি।
আরও পড়ুন : ‘জল-যুদ্ধের’ কী শেষ হবে না? নতুন করে জল বাড়ছে ঘাটালে, বাড়ছে চিন্তা
advertisement
মন্দিরের সেবায়েত মাধব অধিকারী জানালেন, জয়দেবে এলে শুধু মন্দির নয়, আরও অনেক দর্শনীয় স্থান রয়েছে। জয়দেবের সিদ্ধাশ্রম, রয়েছে একাধিক আশ্রম, যেখানে মেলার সময় হাজার হাজার মানুষ অন্ন-বস্ত্র বিতরণ করেন। আমাদের গরিবের মেলা। এখানে খাওয়া-থাকার জন্য কোনও খরচ লাগে না।
আরও পড়ুন : এই প্রকল্পে নাম লেখালেই কেল্লাফতে! সরকারি চাকরির সুযোগ হাতের মুঠোয়
স্থানীয় ব্যবসায়ী বিমল মণ্ডল বললেন, “সবচেয়ে বেশি ভিড় হয় ডিসেম্বরের ২৪-২৫ তারিখ থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত। বর্ষাকালে ভিড় অনেকটাই কমে যায়। মন্দির ছাড়াও পর্যটকরা কুশেশ্বর ঘাট, মহাশ্মশান ও তিলোত্তমা মন্দিরের পিতলের রথ দেখতে আসেন। রথযাত্রা আমাদের বড় উৎসব।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
জয়দেবের মন্দির শুধু একটি ধর্মীয় স্থান নয়, এটি বীরভূমের সংস্কৃতি, শিল্প ও আতিথেয়তার প্রতীক। ইতিহাস, আধ্যাত্মিকতা আর নদীর ধারের শান্ত সৌন্দর্য মিলিয়ে এই গন্তব্য ভ্রমণপিপাসুদের মনে গেঁথে থাকে চিরকাল।