স্থানীয় বাসিন্দা প্রলয় ঘোষের কথায়, এখানে কালী, শিব ও বিশ্বরূপ, তিনটি মন্দির রয়েছে। ছেলেমেয়েরা বিকেলে ঘুরতে আসে, কিন্তু সন্ধ্যার পর আর কেউ আসতে চায় না। কারণ নেই আলো, নেই সাফাই। ঝোপঝাড়ে ভরা, নিরাপত্তাহীন এক পরিবেশ। অথচ একটু গার্ডওয়াল, আলো আর পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা থাকলে জায়গাটা আরও ব্যবহারযোগ্য হয়ে উঠত। তিনি জানান, বর্তমানে এখানে একটা প্রতীক্ষালয় থাকলেও সেটি ব্যবহারের অযোগ্য। ভিতরের অবস্থাও ভয়াবহ। সাপ বের হওয়ার আশঙ্কায় কেউ ঢুকতে চান না। আর্থিক সমস্যা বা দূরত্বের কারণে অনেকে বক্রেশ্বর মহাশ্মশানের পরিবর্তে এখানেই দাহ সম্পন্ন করেন। ফলে প্রতিদিন মৃতদেহ আনা হয় এই শ্মশানে।
advertisement
বীরভূমের হজরতপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান অর্পিতা ঘোষের সঙ্গে ফোন মারফত যোগাযোগ করা হলে তিনি স্পষ্ট জানান, “এই শ্মশান আমাদের পঞ্চায়েত এলাকার মধ্যে পড়ে না। তাই আমরা কোনও মন্তব্য করতে পারছি না।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
অন্যদিকে খয়রাশোল গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ভূপেন্দ্রনাথ ঘোষ বলছেন, “এলাকাটা দু’টি পঞ্চায়েতের মাঝামাঝি হওয়ায় পুরো দায়িত্ব নেওয়া যাচ্ছে না। আলো বসানোর জন্য আবেদন করেছি, স্ট্যান্ড দাঁড়িয়ে থাকলেও আলো জ্বলছে না। যাত্রীনিবাস আছে, কিন্তু আগাছার জন্য নজরদারি কঠিন।” তবে তিনি আশ্বাস দিয়েছেন, শীঘ্রই আগাছা পরিষ্কার করে যাত্রীদের থাকার ব্যবস্থা করা হবে।
সুদীপ্ত গড়াই