সবচেয়ে উদ্বেগজনক বিষয়, প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ অনুযায়ী, ঘটনাস্থলে পুলিশ উপস্থিত থাকলেও বোমা উদ্ধারের কাজ পুলিশ নয়, নিজের হাতে করেছেন সাধারণ মানুষ। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, পুলিশের নির্দেশেই ঝুঁকি নিয়ে বোমাগুলি তুলে একটি বালতিতে ভরে নেওয়া হয়।
advertisement
স্থানীয় বাসিন্দা রাহুল বলেন, “আমরা এসে দেখি দু’টো বোমা পড়ে আছে। পুলিশ ভ্যান আসে। পুলিশ আমাকে বলে তুলতে। পাশের বাড়ির লোক বালতি এনে দেয়। ভয় লাগছিল ঠিকই, কিন্তু পুলিশ বলায় তুলে দিয়েছি। আমি তো রাজমিস্ত্রি, পুলিশের লোক নই।” আরেক বাসিন্দা পাপু মণ্ডল জানান, “সকালবেলায় এক ছাত্রের বাবা প্রথম বোমা দেখতে পান। ভয়াবহ দুর্ঘটনা হতে পারত। বাচ্চারা আজ বড় বিপদ থেকে বেঁচে গিয়েছে।”
উদ্ধার হওয়া বোমা
উল্লেখযোগ্যভাবে, গত এক মাসের মধ্যে দ্বিতীয়বার আবদারপুর এলাকায় প্রকাশ্যে বোমা উদ্ধারের ঘটনা ঘটল। স্থানীয়দের দাবি, এর আগেও একই পাড়ায় বোমা পাওয়া গিয়েছিল। তবুও সেভাবে তদন্ত বা কড়া নজরদারি দেখা যায়নি। সেই কারণেই এলাকাবাসীর মধ্যে আতঙ্ক ক্রমশ বাড়ছে। স্থানীয়দের আরও অভিযোগ, পুলিশ বোম স্কোয়াড না ডেকে এবং নিরাপত্তা বলয় তৈরি না করেই তড়িঘড়ি বোমা সরিয়ে নিয়ে যায়। এতে বড়সড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা ছিল বলেই মত তাদের।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এক বাসিন্দার কথায়, “হাতে করে কখনও বোমা তোলা যায় না। আমরা তো সবসময় দেখি বম্ব স্কোয়াড এসে নির্দিষ্ট নিয়ম মেনেই বোমা উদ্ধার করে। এখানে তা একেবারেই মানা হয়নি।” এ বিষয়ে বীরভূম জেলার পুলিশ সুপার আমনদীপ জানান, “বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। পুরো ঘটনার তদন্ত চলছে।”






