লোবা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার চাষি শেখ রফিক বলেন, “নাড়া পোড়ালে মাটির ক্ষতি হয়, এটা আমরা জানিই না। আমাদের তো মনে হয় এতেই মাটি ভাল হয়। কৃষি দফতর থেকে কেউ কখনও এসে বলেনি যে নাড়া পোড়ানো যাবে না বা এতে ক্ষতি হয়।” একই সুর শোনা যায় আর এক চাষি বাবলু ডোমের কথাতেও। তিনি জানান, “কেউ আমাদের কখনও বলেনি যে নাড়া পোড়ানো ক্ষতিকর। জানলে কি আর কেউ পোড়াত?”
advertisement
বিশেষজ্ঞদের মতে, আধুনিক যন্ত্রে ধান কাটার ফলে প্রচুর ফসলের অবশিষ্টাংশ মাঠে থেকে যায়। অনেক চাষি দ্রুত জমি পরিষ্কারের জন্য সেই নাড়াতেই আগুন লাগিয়ে দেন। কিন্তু এই নাড়া পোড়ানোর ফলে শুধু পরিবেশ দূষণই নয়, মাটির ভেতরের উপকারী জীবাণু নষ্ট হয়ে যায়, মাটির গুণগত মান কমে যায় এবং দীর্ঘমেয়াদে জমি অনুর্বর হয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়। এ বিষয়ে দুবরাজপুর ব্লকের সহ-কৃষি অধিকর্তা মঙ্গল দাস বলেন, “নাড়া পোড়ানো মাটির স্বাস্থ্যের পক্ষে যেমন ক্ষতিকর, তেমনই পরিবেশের জন্যও অত্যন্ত বিপজ্জনক। এর ফলে উৎপন্ন ধোঁয়া পরিবেশ দূষণ করে এবং মাটির উর্বরতা নষ্ট করে।” তিনি আরও জানান, কৃষি দফতরের পক্ষ থেকে নিয়মিতভাবে লিফলেট, পোস্টার, ব্যানার, ট্যাবলো-সহ রোড র্যালি, প্রশিক্ষণ শিবির ও সভার মাধ্যমে কৃষকদের সচেতন করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে।