মন্দির ট্রাস্টি উৎপল ঘোষ জানান, এই পুজোর সূচনা করেছিলেন সাধক রামেশ্বর ডণ্ডী। বহু বছর আগে হিংলো নদীর তীরে তিনি তাঁর আরাধ্যা দেবী ‘লোবা মা’-র প্রতিষ্ঠা করেন। পরে তিনি গ্রাম ছাড়ার আগে ঘোষ পরিবারকে পুজোর দায়িত্ব ও চক্রবর্তী পরিবারকে সেবায়েত হিসেবে নিয়োগ করে যান। সেই থেকেই অবিচ্ছিন্নভাবে রীতি মেনে চলছে পুজো। উৎপল ঘোষ বলেন, “মায়ের পুজো আমাদের পরিবারের মেয়ের বিয়ের মতোই পালিত হয়। তিন শতাব্দী ধরে সেই রীতিই বজায় আছে।” তাঁর কথায়, লোবা মা অত্যন্ত জাগ্রত। অনেক ভক্ত মোবাইলে মায়ের ছবি দেখে প্রার্থনা করে আরোগ্য বা মানসিক শান্তি লাভ করেছেন বলে দাবি করেন।
advertisement
বীরভূমের লোবার এই পুজোর অন্যতম বিশেষত্ব তিনটি কালী প্রতিমার একসঙ্গে বিসর্জন। দীপান্বিতা অমাবস্যার রাতে পুজো শেষে পরদিন স্থানীয় কালিভাসা পুকুরে তিন প্রতিমার নিরঞ্জন হয়। তিন দেবীকে তিন বোন হিসেবে মানা হয়, লোবা মা (বড় বোন), বাবুপুরের মা (মেজো বোন) ও বরাড়ির মা (ছোট বোন)।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
সকল সম্প্রদায়ের মানুষ এই পুজোয় অংশগ্রহণ করেন। পুজোর দিন লোবা গ্রাম পরিণত হয় মিলনমেলায়। আলো, মেলা, ভক্তদের ঢল আর বিশ্বাসে ভরপুর আবহে। তিন শতাব্দী ধরে লোবা মা আজও এক জীবন্ত ঐতিহ্য, যেখানে ধর্ম নয়, ভক্তিই সকলকে একসূত্রে বেঁধে রাখে।