বিভিন্ন রাজ্যের প্রায় ৬০০ শিল্পী এখানে অংশগ্রহণ করেছেন। মহোৎসব চলবে চলতি মাসের ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। ২৩ ডিসেম্বর থেকে ঐতিহ্যবাহী পৌষমেলা। তার আগে ভারত সরকারের সংস্কৃতি মন্ত্রকের তত্ত্বাবধানে পূর্বাঞ্চল সংস্কৃতি কেন্দ্র সৃজনী শিল্পগ্রাম সেজে উঠেছে। প্রত্যেক বছরের মতো ডিসেম্বরের শেষে এককথায় উৎসবের মেজাজে কবিগুরুর বোলপুর শান্তিনিকেতন।
আরও পড়ুনঃ পুরুলিয়ায় শুরু ক্রিসমাস ফেস্টিভ্যাল! পর্যটকদের জন্য বড়দিনের বড় আকর্ষণ, উদ্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী
advertisement
পূর্বাঞ্চল সংস্কৃতি কেন্দ্রের কর্মকর্তা আশীষ গিরি জানান, “পাঁচদিনের এই উৎসবে বিভিন্ন লোকসংস্কৃতি উপস্থাপন করা হবে। কোনও ধরনের টিকিট প্রয়োজন নেই প্রবেশের জন্য। স্থানীয় বাসিন্দাদের পাশাপাশি দূর দূরান্ত থেকে আগত পর্যটকেরা যে কেউ এই উৎসব দেখতে পারবেন। এটা আমাদের সবচেয়ে বড় উৎসব। রাজ্যের বাইরে থেকে প্রায় ২০০ জন শিল্পী অংশগ্রহণ করেছেন এই অনুষ্ঠানে। রাজ্যের বহু লোকশিল্পী উৎসবে যোগ দিয়েছেন।”
আরও পড়ুনঃ রাস্তা জুড়ে অবৈধ দোকানপাট, ছাড়ল না আন্ডারপাসও! যানজটের আরেক নাম ধুলাগড়, দেখুন কী অবস্থা
বোলপুর শান্তিনিকেতনে আগত পর্যটকেরা সকাল ১০টা ৩০ মিনিট থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত এখানে আসতে পারবেন। উৎসবে প্রদর্শিত হচ্ছে অসমের বিহু, ত্রিপুরার হোজগিরি, ওড়িশার সম্বলপুরীর পাশাপাশি নুয়াখাই, মণিপুরের মণিপুরী নৃত্য, ঝাড়খণ্ডের ঝুমুর নৃত্য প্রভৃতি। এছাড়াও এই রাজ্যের পটের গান, ছৌ নৃত্য, বাউল গান, আদিবাসী নৃত্য, মাহালী ঝুমুর, ভাদু গান, নাম সংকীর্তন, বোলান গান, ঢোল বাদন, পুতুল নাচ, সাঁওতালি নৃত্য, শ্রী খোল, চাদর বাঁধুনি, লাঠি খেলা, ঢালী নাচ, কাঠি নাচ, ভাওয়াইয়া, লোকগীতি, দাঁশাই নাচ, গম্ভীরা ও কবিতা চর্চা-সহ আরও অনেক কিছু।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
তাই এই সময় বোলপুর শান্তিনিকেতনে থাকলে পূর্বাঞ্চলীয় লোক মহোৎসব দেখার সুযোগ মিস করবেন না ভুলেও। আজই ঘুরে আসুন।





