পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার সকাল ১১টা নাগাদ গরু চরাতে বেরিয়েছিলেন শেখ রকিব। বিকেলে গরুগুলি ফিরে এলেও আর ফেরেননি তিনি। রাতভর চলতে থাকে খোঁজাখুঁজি। সোমবার সকালে স্থানীয় বাসিন্দাদের অনুরোধে ও সদাইপুর থানার উদ্যোগে নীল নির্জন জলাধারের গেট বন্ধ করে নদীর জল কমানো হয়। এরপর গ্রামবাসীরা বক্রেশ্বর নদীর এক ঝোপঝাড়ের মধ্যে আটকে থাকা শেখ রকিবের দেহটি উদ্ধার করেন।
advertisement
আরও পড়ুন : বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গের পাহাড়, এরই মাঝে এ-কী হল দক্ষিণবঙ্গে! আতঙ্কে ঘর ছেড়ে পালাচ্ছেন বাসিন্দারা
স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য রিয়াজউদ্দিন মির্ধা বলেন, “উনি প্রতিদিনের মতোই গরু চরাতে গিয়েছিলেন। বিকেলে গরু বাড়ি ফিরে এলেও উনি ফেরেননি। রাতভর গ্রামবাসীরা খোঁজাখুঁজি করেছেন। আজ সকালে নদীর জল কমানোর পর দেখা যায়, ঝোপের মধ্যে দেহ আটকে আছে। এই নদী পার হতে গিয়ে প্রায়ই গরু, ছাগল মারা যায়। এবার একজন মানুষ প্রাণ হারালেন।”
আরও পড়ুন : মুষলধারে বৃষ্টিতে ধসবিধ্বস্ত পাহাড়! দুর্যোগ কী আরও বাড়বে? কী পূর্বাভাস দিল আবহাওয়া দফতর
গ্রামবাসীদের অভিযোগ, বহুবার ব্লক ও জেলা প্রশাসনের কাছে নদীর উপর একটি সেতু নির্মাণের দাবি জানানো হয়েছে। এমনকি সাংসদ শতাব্দী রায়কেও জানানো হয়েছিল, কিন্তু কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। তাঁদের বক্তব্য, সেতু না থাকায় ঝরিয়া মহম্মদপুর গ্রাম থেকে সিউড়ি বা চিনপাই যেতে হলে ১২-১৪ কিলোমিটার ঘুরপথে যাতায়াত করতে হয়।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
গ্রামবাসীদের একাংশের বক্তব্য, “আমাদের বেশিরভাগ চাষের জমি নদীর ওপারে। এই নদী পারাপারের জন্য কোনও স্থায়ী ব্যবস্থা না থাকায় প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। এখন অন্তত প্রশাসন যেন দ্রুত সেতু নির্মাণের ব্যবস্থা করে।” ঘটনায় এলাকায় নেমেছে শোকের ছায়া। একদিকে প্রিয়জন হারানোর বেদনা, অন্যদিকে নিরাপদ পারাপারের দাবিতে এখন সরব গোটা ঝরিয়া মহম্মদপুর গ্রাম।