চারদিকে জল জমে থাকা অবস্থায় যাতায়াতের উপায় নেই বললেই চলে। বিপাকে পড়েছেন বীরভূমের একাংশের স্কুল পড়ুয়া, রোগী ও সাধারণ মানুষ। ব্রাহ্মণী নদীর বৈধরা জলাধার থেকে মঙ্গলবার সকাল ন’টা নাগাদ ছাড়া হয়েছে প্রায় ২২,৩৮৭ কিউসেক জল। এরপরই আবার মঙ্গলবার লাগাতার জল ছাড়া হয়েছে। তার সঙ্গে ঝাড়খণ্ডের ত্রিপিতি নদীর জলও দ্রুত গতিতে বেড়ে যাওয়ায় বিপদ দ্বিগুণ হয়েছে। নদীর জল বেড়ে প্লাবিত হয়েছে নলহাটি এক নম্বর ব্লকের একাধিক গ্রাম। ছাচকা, দস্তরপুর, ভগবতীপুর, সোনার কুন্ডু-সহ বিস্তীর্ণ অঞ্চল।
advertisement
অন্যদিকে রামেশ্বরপুর গ্রামে ব্রাহ্মণী নদীর বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় মঙ্গলবার বিকেল থেকেই প্রবল জলস্রোতে প্লাবিত হচ্ছে বড়লা গ্রাম পঞ্চায়েতের কিছু এলাকা। জমিও ডুবে গিয়েছে জলের তলায়। দস্তরপুর গ্রামের বাসিন্দারা বলেন, “আমরা চারদিক থেকে ঘেরা জল। গ্রামের মধ্যেই আটকে পড়েছি।” প্রশাসনের নজর এড়িয়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বিভিন্ন কাজে পারাপার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। এদিকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সমস্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। নদীর জলস্তরের উপর নজর রাখা হচ্ছে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
এর পাশাপাশি সোনার কুন্ডু এসপি হাইস্কুল স্কুলের মধ্যে প্রায় এক হাজার ছাত্রছাত্রী রয়েছে। যারা বিভিন্ন আশেপাশে গ্রাম থেকে নৌকা পারাপার করে স্কুলে এসে পৌঁছায়। তবে জলের পরিমাণ বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে সবকিছু ডুবে যাওয়ার ফলে নৌকা পারাপার বন্ধ হয়ে গিয়েছে। ফলে সেই স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুলে আসতে গেলে প্রায় ১০ থেকে ১২ কিলোমিটার ঘুর পথে এসে পৌঁছাতে হবে। সেই ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়বে ছাত্রছাত্রীরা। যতদিন পর্যন্ত সেই জলের পরিমাণ না কমছে ততদিন স্কুলে আসতে পারবে না ছাত্রছাত্রীরা।
সৌভিক রায়