তবে বার্তা একটাই, যে হেলমেট পরে ভবিষ্যৎ সুরক্ষিত করুন। সকাল সকাল চৌমাথার মোড়ে হাজির ট্র্যাফিক পুলিশ। লাইন দিয়ে এল স্কুলের ছাত্রীরা। মূকাভিনয় করে হেলমেট পরার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরল এক ছাত্রী। এরপর শুধু করতালি। সাধারণ মানুষ যথেষ্ট অনুপ্রাণিত হয়েছেন সেটা বোঝা গেল। তারপর মেয়েরা শিখল ট্র্যাফিক কন্ট্রোল। কীভাবে গাড়ি ছাড়তে হয়, কীভাবে গাড়ি থামাতে হয়।
advertisement
ব্যাস, আর কী? একে একে শুরু করে দিল কাজ। উৎসাহিত জনতা দেখতে থাকল বাঁকুড়ার ভবিষ্যতের ট্র্যাফিক কন্ট্রোল করতে। যারা হেলমেট পরেননি তাদের মুখেও দেখা গেল হাসি, হাতে চকোলেট এবং গোলাপ ফুল নিয়ে যেন প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হল তারা হেলমেট পরার।
কালিতলা গার্লস প্রাইমারি স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা জানান, এই পাঠের মাধ্যমে যথেষ্ট উপকৃত হয়েছে ছাত্রীরা। নিজেদের সচেতনতার পাশাপাশি সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে পেরেছে তারা। এভাবেই বিদ্যালয়ের কচিকাঁচারা বাঁকুড়ার ভিড় রাস্তায় তৈরি করল এক অদ্ভুত দৃষ্টান্ত।
নীলাঞ্জন ব্যানার্জি