মাংস কিনতে শিয়ালদহ, বালিগঞ্জ, যাদবপুর, সোনারপুর, ক্যানিং, কাকদ্বীপ, নামখানা-সহ দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার বিভিন্ন জায়গা থেকে মানুষ আসছে এবং ৩, ৪, ৫, ৬ কেজি পর্যন্ত মাংস কিনে নিয়ে মানুষ বাড়ি যাচ্ছে। কিছু ক্রেতার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, মাংস অনেকটাই ভাল সুস্বাদু। কম দামে পাওয়া যাচ্ছে বলেই কিনে নিয়ে যাচ্ছে তাঁরা।
advertisement
আরও পড়ুনঃ কার্ফু উঠতেই ছন্দে ফিরছে কাঠমান্ডু, স্বস্তিতে পর্যটক ও স্থানীয়রা, পুজোয় নেপাল বেড়ানো সম্ভব?
মুজিবর মিট শপের মাংস বিক্রেতা বাপন পেয়াদা বলেন, খাসিগুলি নিয়ে আসা হচ্ছে তালদির হাট, নারকেলডাঙ্গা, রামপুরহাট থেকে, কম দামে কিনে গাড়ি গাড়ি মাল নিয়ে এসে বিক্রি করছে। কম লাভে বেশি মাংস বিক্রি আমাদের মূল লক্ষ্য। রাজু মিট শপের আর এক মাংস বিক্রেতা শহিদুল পেয়াদা বলেন, প্রত্যেকদিন কমপক্ষে ৮০-৯০ পিস খাসি বিক্রি হচ্ছে। এক একটির ওজন ৮ কেজি, ১০ কেজি। মানুষ এই মাংস কিনে নিয়ে গিয়ে রান্না করে খাওয়ার পর আবার এসে অনেকে নিয়ে যাচ্ছে। ফলে বারুইপুরের বিভিন্ন বাজারে খাসির মাংসের দাম অনেকটাই পড়ে গিয়েছে। অনেক ব্যবসায়ীর মাথায় হাত পড়েছে।
বাইপাস সংলগ্ন দোকানগুলির পাশে একটি দোকানে ৭০০ টাকা কেজি মাংস বিক্রি করছিল কিন্তু ৪০০ টাকা কেজি মাংস যখন বাজারে আসে তখন তার দোকান বন্ধ করে দিয়ে চলে যায়।। বাইপাসের পাশাপাশি শাসন, বারুইপুর পুরাতন বাজার ইত্যাদি বাজারে ও খাসির মাংস ব্যবসায়ীরা ৪০০ টাকা কেজি মাংস বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে। সুভাষগ্রাম থেকে ক্রেতা এসেছিলেন। তিনি বলেন, আমি সোনারপুর থেকে মাংস বরাবর কিনতাম কিন্তু যখন শুনেছি বারুইপুরে ৪০০ টাকা মাংস বিক্রি হচ্ছে আমি আমার বাড়ির জন্য ৪ কেজি কিনে নিয়ে যাচ্ছি। আমার বন্ধুর কাছে শুনেছি এই মাংস খুবই ভাল খেতে, তাই কিনে নিয়ে যাচ্ছি। পুজোর সময় প্রত্যেক বাঙালিদের নতুন কাপড় কিনতে পকেট প্রায় ফাঁকা, আর ঠিক সেই সময় ৪০০ টাকা কেজিতে খাসির মাংস পেয়ে সাধারণ মানুষ খুবই আনন্দিত। ক্রেতারা ধন্যবাদ জানাচ্ছেন বিক্রেতাদের।