সেখানে বলা হয়েছিল, যে যত বেশি টাকা দিতে পারবেন সে সেই স্টল পাবেন। অর্থাৎ এই প্রক্রিয়া পুঁজিপতিদের জন্য লাভজনক হলেও এতে গরিব, ক্ষুদ্র কৃষক ও ব্যবসায়ীরা সমস্যার সম্মুখীন হতেন। তাঁরা কৃষক বাজারে স্টল পাওয়া থেকে বঞ্চিত হতে পারতেন। সেই কারণে অসন্তোষ প্রকাশ করেন স্থানীয় কৃষক থেকে ব্যবসায়ীরা। কৃষকদের কথা চিন্তা করে এবার গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করল বাঘমুন্ডি পঞ্চায়েত সমিতি। নতুন আরও একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে চলেছেন তাঁরা।
advertisement
আরও পড়ুনঃ রাতের অন্ধকারে বাংলাদেশ পালানোর চেষ্টা! কিশোরী ধরা পড়তেই সব ফাঁস…! সামনে চাঞ্চল্যকর তথ্য
এই বিষয়ে বাঘমুন্ডি পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি মানস মেহতা বলেন, যে উদ্দেশ্য নিয়ে এই কৃষক বাজারে স্টল বিতরণ শুরু করা হয়েছে তা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন ক্ষুদ্র, মাঝারি ব্যবসায়ী ও কৃষকেরা। তাই আলোচনার মধ্য দিয়ে একটি নতুন বিজ্ঞপ্তি জারি করতে চলেছেন তাঁরা।
রেশন কার্ডে ডবলএওয়াই (AAY) যাদের রয়েছে, সেই সমস্ত কৃষক ও ব্যবসায়ীদের জন্য ৪০-৫০ শতাংশ স্টল ধার্য করা হচ্ছে। এতে ক্ষুদ্র, মাঝারি ব্যবসায়ী ও গরিব কৃষকেরা অনায়াসেই এই কৃষক বাজারে স্টল পাবেন। তবে ফর্ম ফিলাপের আবেদনের মূল্য ৫০০ টাকাই রাখা হয়েছে। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আগামী সোমবার থেকেই সকলে আবেদন করতে পারবেন।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
সম্প্রতি রাজ্যের কৃষি ও বিপণন মন্ত্রী বেচারাম মান্না সুইসা, বলরামপুর সহ বিভিন্ন এলাকার কৃষক বাজার পরিদর্শন করেন। তারপরেই এই দোকানঘর বন্টনের প্রক্রিয়ায় এলাকার কৃষক থেকে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা আনন্দে ছিলেন। কিন্তু ফর্ম হাতে নিতেই তাঁদের এই আনন্দ নিরানন্দে পরিণত হয়েছিল। নিরাশ হয়েছিলেন বেকার ছেলে-মেয়েরা। তবে সম্প্রতি পঞ্চায়েত সমিতির পক্ষ থেকে নতুন নির্দেশিকা জারি করায় কিছুটা হলেও স্বস্তিতে রয়েছেন তাঁরা।