কারখানায় যে সব শ্রমিকরা কাজ করছিলেন, আয়কর দফতরের কর্তারা তাঁদের পুরো আটকে দেন। এবং অফিসের মধ্যে যাঁরা পরিচালনা করেন তাঁদের ডেকে দীর্ঘ সময় ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। ঘন্টা ছয়েক পর কারখানার ভিতর যে সমস্ত শ্রমিকরা কাজ করছিল তাঁদের বের করে দেওয়া হয়।
মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর মহকুমাতেই বেশিরভাগ বিড়ি শিল্প গড়ে উঠেছে। জঙ্গিপুরে মোট ৪৮টি বড় বিড়ি কারখানা রয়েছে। ছোট কারখানা রয়েছে প্রায় শ'পাঁচেক। পতাকা বিড়ি গোষ্ঠীতে এলাকার কয়েক হাজার মানুষ কাজ করে। বড় শিল্পপতি হিসেবে যথেষ্ট সুনাম রয়েছে। কিছুদিন আগেই জঙ্গিপুরের তৃণমূলের বিধায়ক জাকির হোসেনের বাড়ি ও গোডাউনে হানা দিয়েছিল আয়কর দফতর। উদ্ধার হয়েছিল ১১ কোটি টাকা। সেদিনই সামশেরগঞ্জের আরও দুটি বিড়ি কারখানায় তল্লাশি চালিয়েছিল আয়কর দফতর।
advertisement
আরও পড়ুন : মিলবে না ট্রেন, কর্মক্ষেত্রে পৌঁছতে বাসের আগাম টিকিট কাটছেন অনেকেই
সেই রেশ কাটতে না কাটতেই এবার পতাকা বিড়ি ফ্যাক্টরিতে হানা দেওয়ায় আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে বিড়ি কোম্পানিগুলির মধ্যে। তবে এইভাবে বিড়ি কারখানায় হানা দেওয়ায় বিড়িশ্রমিকরা অনেকটাই ক্ষতির মুখে পড়ছে বলে দাবি তাঁদের। পতাকা বিড়ি ফ্যাক্টরির কর্মী মহম্মদ মাইনুদ্দিন বলেন, "এই ফ্যাক্টরিতে আমি দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছি। এই ফ্যাক্টরিতে কোনওদিন কোনও বেআইনি কাজ হয়নি। কিন্তু এইভাবে আয়কর দফতর হানা দেওয়ায় আমাদের খুব ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে। একাধিক বিড়ি শ্রমিক ক্ষতির মুখে পড়ছে। "
আরও পড়ুন : মাঝ রাস্তায় চূড়ান্ত উত্তেজনা, টোটোচালক মেকানিকের মারামারির ভিডিও ভাইরাল
আর এক বিড়িশ্রমিক ওবাইদুর রহমান বলেন, " সকাল থেকে আমাদের বিড়ি আটকে রাখা হয়েছে। ফ্যাক্টরিতে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। সব বিড়ি নষ্ট হয়ে যাবে। আমরা বড় ক্ষতির মুখে পড়ব। " বিডি মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক রাজকুমার জৈন বলেন, " আমরা আতঙ্কিত। ভারতবর্ষে কয়েকটি শিল্পের মধ্যে পতাকা গোষ্ঠী একটি। সেখানে আয়কর দফতর হানা দেওয়ায় আমরা আতঙ্কিত। মুর্শিদাবাদে প্রায় কুড়ি লক্ষ মানুষ এই বিড়ি শিল্পের সঙ্গে জড়িত। পর পর চারটি বিড়ি কারখানায় আয়কর দফতরের হানায় আমরা উদ্বিগ্ন।"