এই গ্রামের সঙ্গে বিভূতিভূষণের সম্পর্ক ছিল গভীর। কারণ এখানেই ছিলেন তাঁর প্রথম স্ত্রী গৌরী দেবী। স্ত্রীর স্মৃতির টানে বারে বারে পানিতরে ফিরে এসেছিলেন তিনি। সেই টান থেকেই নিজের হাতে এখানে গড়ে তোলেন একটি পাঠাগার। স্থানীয়ভাবে পরিচিত ঘূণীর ঘরে গড়ে ওঠা এই পাঠাগার একসময় ছিল সীমান্তবাসীর শিক্ষা ও আলোচনার অন্যতম কেন্দ্র। অবিভক্ত বাংলার সাতক্ষীরা থেকেও বহু মানুষ আসতেন বই পড়তে।
advertisement
আরও পড়ুন: গৃহস্থের বাড়িতে কিছু না পেয়ে গ্যাস সিলিন্ডার নিয়ে পালানোর চেষ্টা, হাতেনাতে পাকড়াও চোর
স্বাধীনতার আগেই এই পাঠাগারের সুনাম ছড়িয়েছিল চারিদিকে। পরবর্তীতে ১৯৭৮ সালে রাজ্য সরকার এই পাঠাগারের দায়িত্ব নেয় এবং এর নামকরণ করা হয় বিভূতিভূষণ গ্রামীণ পাঠাগার। স্থানীয়রা আজও এই ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান নিয়ে গর্ব করেন। কিন্তু দুঃখের বিষয়, দীর্ঘদিন ধরে গ্রন্থাগারিক না থাকায় প্রায় বন্ধ হয়ে পড়েছে এর দরজা। মরিচা পড়েছে তালা ও জানলার গ্রিলে, ভেতরে বইয়ের স্তূপও আজ বেহাল দশায় পড়ে আছে। বর্ষার জলে ভিজে নষ্ট হচ্ছে অনেক বই। চরম অবহেলায় পাঠাগার কক্ষ এখন ব্যবহৃত হচ্ছে পোস্ট অফিস হিসেবে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
যে পাঠাগার একসময় ছিল সীমান্তবাসীর জ্ঞানের আলো ছড়ানোর স্থান, আজ তা পড়ে আছে অব্যবহৃত অবস্থায়। মাঝে মাঝে খোলা হলেও বর্তমানে পুরোপুরি বন্ধ বলা চলে। স্থানীয়দের আক্ষেপ, প্রশাসন সামান্য উদ্যোগ নিলেই আবার প্রাণ ফিরে পেতে পারে এই ঐতিহ্যমণ্ডিত পাঠাগার। তার জন্য অবিলম্বে একজন গ্রন্থাগারিক নিয়োগের দাবি জানানো হয়েছে। তবে এই বিষয়ে প্রশাসনের তরফ থেকে কোনও কিছু জানা যায়নি।