গত বছর কাঁচালঙ্কার ফ্লেভারের রসগোল্লা তৈরি করে রাজ্যজুড়ে সাড়া ফেলেছিলেন অরিন্দম। সেই কারণে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ কালনায় আসেন শুধু মাত্র উৎকৃষ্ট মানের মিষ্টি কিনতে। এবার ভাইফোঁটার আগের দিন কালনার মিষ্টির দোকানগুলিতে উপচে পড়া ভিড়। বাঙালির বারো মাসে তার পার্বনের অন্যতম উৎসব ভাইফোঁটা। ভাইয়ের কপালে ফোঁটা দিয়ে দিদি কিংবা বোন ভাই বা দাদার হাতে তুলে দেয় বিভিন্ন স্বাদের মিষ্টি ভর্তি প্লেট। তাই কোন দোকানের মিষ্টি ভালো সেদিকে খোঁজ থাকে দিদি ও বোনেদের।
advertisement
আরও পড়ুন: স্ত্রীর 'প্রেমিক'কে বাড়িতে ডাকল স্বামী, তারপরই ভয়ঙ্কর কাণ্ড! গোটা ঘরজুড়ে শুধু রক্ত আর রক্ত
গত বছর কালনার মিষ্টান্ন ব্যাবসায়ী অরিন্দম কাঁচা লঙ্কার স্বাদ ও গন্ধযুক্ত রসগোল্লা গড়ে প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন। তিনি বললেন, আমরা কোনও রাসায়নিক ব্যবহার করি না। এটা সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয়। এবারও এই মিষ্টি তৈরিতে কোনও রকম রাসায়নিক রং ব্যবহার করা হয়নি। বিষয়টি মানুষের স্বাস্থ্যের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্ক যুক্ত। তাই গুণগত মান ধরে রাখতে কোনও রকম অসৎ উপায় অবলম্বন করা হয় না।
আরও পড়ুন: কাঁধে চাপিয়ে মা কালীকে নিয়ে দৌড়, মালদহের এই রীতি দেখতে ছুটে আসেন দূরদূরান্তের মানুষ
ব্যবসায়ীরা বলছেন, লাগাতার গ্যাসের দাম বাড়ছে। পাশাপাশি ছানার দাম বৃদ্ধি পাওয়াতে অন্যান্য জায়গায় মিষ্টির দাম অনেকটাই বেড়েছে। তবে কালনায় ছানার যোগান ভালো থাকায় তুলনামূলক কম দামেই মিষ্টি দেওয়া যাচ্ছে। মিষ্টান্ন ব্যাবসায়ী অরিন্দমের দোকানের এ বছরে ভাইফোঁটার চমক ২০০ রকমের মিষ্টি।
এর মধ্যে রয়েছে কাঁচা লঙ্কা ফ্লেভারের রসগোল্লা, রয়েছে কমলা ভোগ, স্ট্রবেরি রসগোল্লা, টুইন ওয়ান রসগোল্লা, হানি রসগোল্লা, গোলাপের ফ্লেভারের রোজ রসগোল্লা। এছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন প্রকার ছানা দিয়ে তৈরি রকমারি শুকনো মিষ্টি। কালনায় মিষ্টি কিনতে এদিন কলকাতা থেকেও হাজির হয়েছেন বহু ক্রেতা। এমনই এক ক্রেতা জানালেন, গত বছর কাঁচা লঙ্কা ফ্লেভারের রসগোল্লা খেয়ে গেছিলাম বেড়াতে এসে। এ বছর এসছি ভাইফোঁটার মিষ্টি নিতে। কারিগরদের দাবি, শুধুমাত্র ছানা দিয়েই এই প্রতিষ্ঠানে মিষ্টি প্রস্তুত করা হয়।