মূলত ভাদু একটা পরব যা পালিত হয় বাংলা বর্ষ পঞ্জীর ভাদ্র মাসে। আর এই পরবকে ঘিরে গাওয়া গানই ভাদু গান। রাঢ়বঙ্গের পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বীরভূম জেলা ভাদু গানের জন্মভূমি। ভাদুমণি বা রাজকুমারী ভদ্রাবতীর জীবন কাহিনী বর্ণনা করা হয় এই গানে। পাশাপাশি থাকে সমাজ সচেতনতার বার্তা।
advertisement
আষাঢ় শ্রাবণ মাসে চাষের কাজের পর ভাদ্র মাসে গ্রামের পুরুষরা বেরিয়ে পড়েন ভাদুগান নিয়ে। সংক্রান্তির দিন নদীতে বিসর্জন দেওয়া হয় ভাদু মণির মূর্তি। ভাদু গানগুলো মূলত প্রেম ও রাজনীতি বর্জিত। গানের সহজ সুরে বলা হয় নারী শক্তি ও প্রগতির কথা। গ্রামে গ্রামে ঘুরে শুধু সমাজ সচেতনতার বার্তা দেওয়াই নয়, উপার্জনের বিকল্প পথও এই গান। বর্তমানে আধুনিকতার ছোঁয়ায় মানুষ আগ্রহ হারিয়েছে এই সব লোকগীতিতে। যার প্রভাব পড়েছে বাংলার নিজস্ব সংস্কৃতিতে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
শুধু ভাদুই নয় সাংস্কৃতিক আগ্রাসনে হারিয়ে যাচ্ছে টুসু, ঝুমুর,গম্ভীরা, আলকাপ, জারি বা উত্তরবঙ্গের ভাওয়াইয়া লোকসঙ্গীত। ভাদু শিল্পীরা জানিয়েছেন, সরকার যদি তাঁদের আর্থিক এবং সামাজিকভাবে সহায়তা করে তবেই বেঁচে থাকবে এই ভাদু গান।