বেথুয়াডহরীর একাংশ এখন পরিচিত “ঝাঁটা গ্রাম” নামে। বহু পরিবার প্রজন্ম ধরে ঝাঁটা তৈরির কাজের সঙ্গে যুক্ত। আগে তারা বানাতেন ছোট আকারের ঝাঁটা, যা ব্যবহারের সময় নুয়ে বা ঝুঁকে কাজ করতে হত। কিন্তু এখন সময় বদলেছে, বদলেছে মানুষের শারীরিক চাহিদাও। আধুনিক জীবনের এক সাধারণ সমস্যা হল কোমর ও হাঁটুর ব্যথা। সেই সমস্যাকে মাথায় রেখে এবার ঝাঁটা পেয়েছে নতুন অবতার। লম্বা হাতলসহ ঝাঁটা।
advertisement
আরও পড়ুন : এখানে গেলে দেখতে পাবেন দেবীর শিরা, ধমনী সহ কঙ্কালসার রূপ! পুজো হয় উগ্র চামুন্ডা মতে
এই নতুন ডিজাইনের ঝাঁটায় রয়েছে কাঠ বা বাঁশের লম্বা লাঠি। যা ধরে ব্যবহার করলে আর ঝুঁকতে হয় না। ফলে কোমর বা হাঁটুতে বাড়তি চাপ পড়ে না। ব্যবহারেও আরামদায়ক হওয়ায় বাজারে এর জনপ্রিয়তা দ্রুত বাড়ছে। এক ঝাঁটা প্রস্তুতকারক জানান, আগে ছোট ঝাঁটার চাহিদা থাকলেও এখন সবাই এই লম্বা হাতলওয়ালা ঝাঁটাই চাইছেন। বিক্রি দ্বিগুণ বেড়েছে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
ধনতেরসের আগে প্রতিদিনই বেথুয়াডহরী থেকে মোটরসাইকেলে ঝাঁটা নিয়ে শান্তিপুরসহ আশেপাশের বাজারে ছুটছেন ব্যবসায়ীরা। চাহিদা এত বেশি যে অনেক কারিগর রাত জেগে কাজ করছেন অর্ডার মেটাতে। কোমর ব্যথার যুগে নতুন উদ্ভাবনের এই ঝাঁটা পরিশ্রম কমিয়ে দিচ্ছে স্বস্তি।