সোমবার সন্ধ্যায় বহরমপুরে কলেজছাত্রীকে হত্যার সাড়ে তিন ঘণ্টার মধ্যেই মূল অভিযুক্ত সুশান্ত চৌধুরীকে সামশেরগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। মঙ্গলবার বহরমপুর আদালতে তোলা হলে ১০ দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেন বিচারক। তবে পুলিশি জেরায় কোনও কথারই উত্তর দিচ্ছে না সে। বুধবার এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করেন জেলা পুলিশ সুপার কে শবরী রাজকুমার। তবে বার বার চেষ্টা করেও সুশান্তকে কিছু খাওয়াতে ব্যর্থ হচ্ছেন পুলিশ আধিকারিকরা।
advertisement
কিচ্ছু খাচ্ছেনা সে। কোনও অঘটন যাতে না ঘটাতে পারে তার জন্য একজন অভিজ্ঞ পুলিশ সব সময়ের জন্য সামনে বসিয়ে রাখা হয়েছে। সুশান্তর কাউন্সেলিং করানোর কথা ভাবছেন তদন্তকারী অফিসারররা। তবে পুলিশ আধিকারিকদের তদন্তে জানা গিয়েছে, ওই ছাত্রীকে খুনের সমস্ত পরিকল্পনা করে পালানোর রাস্তা আগে থেকেই ঠিক করে রেখেছিল সুশান্ত। পাঁচিলের উপরের পেরেকগুলো বেঁকিয়ে থাকায় পালিয়ে যেতে যে সুবিধা হবে তা আগে থেকেই দেখে গিয়েছিল সে।
আর সেই কারনেই অপরিচিত ওই রাস্তার পাঁচিল টপকে গলি দিয়ে খুব সহজেই পালিয়ে যেতে পেরেছিল। বুধবার সকালে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে এসে চিকিৎসকদের দিয়ে সুশান্তর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো হয়। মৃতা ও সুশান্তের মোবাইল দুটিও পরীক্ষা করা হয়েছে। দুটি মোবাইলের কল লিস্ট ঘেঁটে কয়েকজন কমন ফ্রেন্ডের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। তাঁদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করার কথা ভাবছেন আধিকারিকেরা।
আরও পড়ুন- পুকুর পাড়ে মাথার খুলি উদ্ধার! পাশেই পড়ে মহিলার পোশাক, ঘটনায় তুমুল চাঞ্চল্য
সুশান্তর ল্যাপটপ খুলে বেশ কিছু ছবিও পাওয়া গিয়েছে। ঘটনার আগের মুহুর্তে মৃতা যাদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছিলেন তাদের সঙ্গেও যোগাযোগ করার চেষ্টা করছে পুলিশ। খুনের আগে মৃতা ছাত্রীর ফোনে বেশ কয়েকটি অপরিচিত নম্বর থেকে ফোন এসেছিল। সেই ফোনগুলি সুশান্ত করেছিল কি না তা খতিয়ে দেখছে তদন্তকারী অফিসারেরা। খুনের আগে ফোনে সুশান্তর সঙ্গেও কথা হয়েছিল কিনা সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে সুশান্ত একটু স্বাভাবিক হলে তাকে জেরা করে আরও নতুন তথ্য উঠে আসবে বলে মনে করছেন তদন্তকারী আধিকারিকেরা।