আরও পড়ুন: অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্রে আগুন লেগে পুড়ে গেল শিশুদের খাদ্য! বাদুড়িয়ায় হাহাকার
বাঁকুড়ার বিপুল কুণ্ডু এবং প্রতিমা কুণ্ডু, এই দম্পতি মিলে তৈরি করেছেন একটি অটোমেটিক ডিভাইস, যা জল নষ্ট হওয়া থেকে রক্ষা করবে। এই যন্ত্রটি আসলে স্বয়ংক্রিয় ওয়াটার পাম্প কন্ট্রোলার। পাম্প চালিয়ে বন্ধ করতে ভুলে যান অনেকেই। নষ্ট হয় বিপুল পরিমাণ জল। সেই কারণেই বাঁকুড়ার জলকষ্ট দুর করতে অটোমেশনকে ব্যাবহার করে অটোমেটিক পাম্প কন্ট্রোলার তৈরি করেছেন বিপুল কুণ্ডু এবং প্রতিমা কুণ্ডু।
advertisement
বাঁকুড়া শহরের গন্ধেশ্বরী ব্রিজের পাশেই গ্রিন গার্ডেনের বাসিন্দা বিপুল কুণ্ডু ছোট্ট মডেলের মাধ্যমে বুঝিয়ে দিলেন কীভাবে কাজ করছে এই পাম্প কন্ট্রোলার। ট্যাঙ্কের জল ৫০ শতাংশ খালি হলেই নিজে থেকেই চালু হয়ে যাবে পাম্প। একটু একটু করে জল ভর্তি হতে থাকবে ট্যাঙ্কে। তা কানায় কানায় পূর্ণ হওয়ার একটু আগেই নিজে থেকেই বন্ধ হয়ে যাবে পাম্প।
কুণ্ডু দম্পতি জানিয়েছেন, এই প্রযুক্তি পৌঁছে গেছে বাঁকুড়ার ঘরে ঘরে। সরকারি দফতরেও এই প্রযুক্তির ব্যবহার করা হয়েছে। এভাবে মোট ৫,০০০ টিরও বেশি স্বয়ংক্রিয় পাম্প বসিয়েছেন তাঁরা। অটোমেটিক এই পাম্পের পুরোটাই তৈরি হচ্ছে বাঁকুড়ায়। এই পাম্পের চাহিদা বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, জলপাইগুড়ির মোটর বাইরের জেলাগুলি থেকেও আসছে। এই কন্ট্রোলারের সর্বনিম্ন মূল্য ২০০০ টাকা। বিপুল কুণ্ডু জানান এর আগে তিনি কলকাতার একটি কোম্পানিতে চাকরি করতেন। তখন থেকে ইচ্ছে ছিল নিজের একটি কোম্পানি খোলার, যেখানে ব্যাবসার পাশাপাশি থাকবে স্বাধীনতা এবং অপরকে চাকরি দেওয়ার সুযোগ। ২০১৪ সাল থেকেই পাকাপাকিভাবে পথ চলা শুরু হয় ‘ভাবনা অটোমেশন’-এর।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
এভাবেই এই উদ্ভাবক দম্পতি বাঁকুড়ায় এবং বাঁকুড়ার বাইরে অটোমেটিক কন্ট্রোলারের জগতে নিজেদের দাগ কাটতে পেরেছেন। এই কর্মযজ্ঞে অন্যতম মুখ্য ভূমিকা পালন করেছেন প্রতিমা কুণ্ডু। স্বামীকে বিভিন্ন খুঁটিনাটি কাজে সাহায্য করার পাশাপাশি কোম্পানির হিসাব থেকে ফাইন্যান্স সবই খেয়াল রাখেন প্রতিমাদেবী। তাছাড়াও কন্ট্রাক্ট পেলেই ফিল্ডে গিয়ে মেশিন বসিয়ে আসেন বিপুল কুণ্ডু নিজে। স্বয়ংক্রিয় পাম্প ছাড়াও ভবিষ্যতে অন্যান্য নজরকাড়া অটোমেটিক প্রযুক্তি নিয়ে আসতে চলেছেন এই দম্পতি।
নীলাঞ্জন ব্যানার্জী