ক্লাব সদস্যদের কথায়, বাঙালি মানেই সাহিত্য ও বই, তাই মণ্ডপের প্রবেশদ্বারেই থাকছে নানা ধরনের সাহিত্যের ছোঁয়া। মণ্ডপসজ্জায় ফুটে উঠবে বাঙালির নববর্ষের আবহ, গামছা, হাতপাখা, ফুটবল প্রেম, চায়ের আড্ডা, ঘটি-বাঙালের লড়াই, মোহনবাগান-ইস্টবেঙ্গল প্রতিদ্বন্দ্বিতা সবই। পাশাপাশি বাঙালির গৌরবময় ইতিহাস, স্বাধীনতা সংগ্রামীদের জীবন, মনীষীদের কাজকর্মও থাকবে প্রদর্শিত।
আরও পড়ুন : কেন শীতকালে বারবার গ্রামে ঢুকে পড়ে বাঘ? এই চারটি বড় ‘কারণে’ লুকিয়ে আছে উত্তর
advertisement
ক্লাব উদ্যোক্তাদের দাবি, বর্তমানে বাংলাভাষী মানুষ নানা জায়গায় বৈষম্য ও ‘বাংলাদেশি’ তকমার শিকার হচ্ছেন। সেই প্রেক্ষিতেই মানুষকে বাঙালিয়ানার মূল সত্ত্বা মনে করিয়ে দেওয়ার প্রয়াস তাদের। ক্লাবের সম্পাদক দেবাশীষ ধীবর বলেন, এবার আমাদের ৪৬তম বর্ষ। থিম ‘বাঙালিয়ানা’। ট্যাগলাইন, আমি বাঙালি, আমি গর্বিত আমি বাঙালি। বাংলা সংস্কৃতি যে ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছে, তারই প্রতিবাদস্বরূপ এই থিম।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
চৌরঙ্গী ক্লাবে পৌঁছতে সিউড়ি বাস স্ট্যান্ডে নেমে টোটো ধরলেই হবে, ভাড়া প্রায় ১০-১৫ টাকা। হাঁটলেও বা বাইকে গেলেও মাদ্রাসা রোড হয়ে মানিক মোড় ঘুরে সহজেই পৌঁছে যাওয়া যাবে। তবে গাড়ি নিয়ে এলে পার্কিংয়ের সুবিধা নেই। বাঙালির সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও গৌরবের অনন্য উপস্থাপনা দেখতে সিউড়ি শহর ও জেলার অসংখ্য মানুষের ভিড় জমবে বলেই আশা উদ্যোক্তাদের।