দীপাবলি, কালীপুজো পার করেই ভাইফোঁটা। আর এই উৎসবের অর্থই হল প্লেট ভর্তি মিষ্টি। দই, চন্দন, ধান, দুব্বো রেখে ভাইয়ের কপালে ফোঁটা দিয়ে যমের দুয়ারে কাঁটা বিছোন বোনেরা। সঙ্গে থাকে প্লেট ভর্তি মিষ্টি। বোনকে আশীর্বাদের পর সেই মিষ্টির স্বাদ নেন ভাইয়েরা।
আরও পড়ুন: ভাইফোঁটায় একাকী অনুব্রত, কেউ দিল না ফোঁটা, মাংস না, নিরামিষ খেলেন কেষ্ট
advertisement
তাই এই উৎসব উপলক্ষে আগাম প্রস্তুতি নিয়েছিলেন মিষ্টান্ন ব্যবসায়ীরা। নানান রকমের রসগোল্লা তো ছিলই, ছিল ছানার তৈরি বিভিন্ন সন্দেশ-সহ কয়েকশো রকমের মিষ্টি। বর্ধমানের তেতুলতলা বাজারের কাছে এক মিষ্টির দোকান তৈরি করেছিল ভাইফোঁটার স্পেশ্যাল থালি। মাটির থালায় ছিল রকমারি মিষ্টি। সেই থালিতে সীতাভোগ, মিহিদানা, ল্যাংচার সঙ্গেই ছিল গোলাপজাম, সুগার ফ্রি রসগোল্লা, ম্যাংগো সন্দেশ রোল, কল্পতরু সন্দেশ, ভাইফোঁটার ছাপ দেওয়া সন্দেশ। ১৮-২০ রকমের মিষ্টির এই থালির দাম ছিল ৬০০ টাকা। সেই থালি ভালই বিক্রি হয়েছে বলে জানালেন বিক্রেতারা।
আরও পড়ুন: কাঁচালঙ্কা থেকে টু-ইন-ওয়ান, ২০০ ধরনের ভাইফোঁটা স্পেশ্যাল মিষ্টির চমক কালনায়!
শুধুমাত্র সীতাভোগ-মিহিদানা উপর ব্যবসা করেন, বর্ধমানের এমন এক মিষ্টান্ন বিক্রেতা বললেন, এখনও সীতাভোগ-মিহিদানার কোনও জবাব নেই। রসগোল্লা, সন্দেশ, ল্যাংচার সঙ্গে সীতাভোগ-মিহিদানা চাই-ই চাই।
এবারও বেশি দামের গাওয়া ঘি দিয়ে ভাজা সীতাভোগের চাহিদা ছিল সবচেয়ে বেশি। তার সঙ্গে সমানভাবেই টেক্কা দিয়েছে গাওয়া ঘিয়ে তৈরি কাজু কিসমিস মেশানো মিহিদানাও। ভাইফোঁটার প্লেট সাজাতে সীতাভোগ-মিহিদানার যে কোনও জুড়ি নাই তা আরও একবার প্রমাণ হয়ে গেল। রাজ্যের বিভিন্ন এলাকাতেই পাড়ি জমিয়েছে এই যমজ মিষ্টি।
