মুর্শিদাবাদ জেলার সঙ্গে জড়িয়ে আছে সুদীর্ঘ ইতিহাস। আর সেই ইতিহাসের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে শাহি টুকরার নাম। এটি মূলত নবাবি বা বাদশাহি মিঠাই। মোটামুটি পঞ্চদশ শতকে এই মিঠাইয়ের সঙ্গে ভারতবাসীর পরিচয় হয়। সেই থেকে দিল্লি, লখনউ, হায়দরাবাদ এবং পাকিস্তানে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে এই শাহি টুকরা। বিক্রেতা দীপায়ণ দেবনাথ জানিয়েছেন, পাউরুটি দিয়ে শাহি টুকরা বানাতে হয়।
advertisement
আরও পড়ুনঃ গোপালের সঙ্গে পিকনিক! গাজোলে শতাধিক গোপাল মূর্তি নিয়ে অভিনব বনভোজনের আয়োজন, অটুট ৭ বছরের পরম্পরা
এখন প্রশ্ন জাগতে পারে, তাহলে মুঘল রান্নায় পাউরুটি এল কীভাবে? আসলে পর্তুগিজদের সঙ্গে পাউরুটি এদেশে এলেও সর্বসাধারণের মধ্যে বিশেষ জনপ্রিয় ছিল না। নবাব-বাদশাহরাও সেই পাউরুটি খেতেন না। আসলে বর্তমানে যাকে শাহি টুকরা বলা হয়, সেটি মূলত ছিল ‘বালাই’। এটি ছিল এক ধরনের নবাবি মিষ্টি। মালাই বা সর এবং রাবড়ি দিয়ে তৈরি হতে।
দুধে মোটা সর ফেলে সেটি সাবধানে তুলে নেওয়া হত। তারপর মালাইয়ের উপর রাবড়ি, তার উপর মালাই, ফের তার উপর রাবড়ি দিয়ে মালাই-রাবড়ির স্যান্ডুইচ বানানো হত। সেটি জমিয়ে ছোটো ছোটো টুকরো করে নবাবের সামনে পরিবেশন করা হত।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
সাধারণ লোকজন এই নবাবি মিষ্টির সঙ্গে পরিচিত ছিলেন বটে। কিন্তু দামি মালাই জোগাড় করা সম্ভব হত না। তাই সাধারণ মানুষের জন্য অন্য উপায়ে মালাই তৈরির চেষ্টা চলে। আর তখনই মালাইয়ের বদলে শুরু হয় পাউরুটির ব্যবহার। ওই দুধের স্বাদ ঘোলে মেটানোর চেষ্টা আর কী! এরপর ধীরে ধীরে এই ‘ঘোলের’ স্বাদটিও হয়ে ওঠে অনবদ্য। এখন সেই মিষ্টিই কাঁপাচ্ছে বহরমপুরের বাজার।





