আরও পড়ুন: মানুষের হয়ে মাছ চাষ বা গরু পালনের কাজ করবে ড্রোন! কীভাবে দেখুন
দুই বন্ধুর একজন অসিত মালিক, অন্যজন অমিত ঘাঁটা। অসিত মালিকের বাড়ি হাওড়ার উদয়নারায়ণপুর ব্লকের পেঁড়ো-তে এবং অমিত ঘাঁটার বাড়ি কানপুরে। দুই বন্ধু এলাকায় লটারির টিকিট বিক্রেতা হিসেবে পরিচিত। একদিনের জন্যও তাঁদের মতের অমিল হয়নি। কাজ, চলাফেরা, আড্ডা সব কিছু একসঙ্গে। সেই দিক থেকে দু’জনের শখও ছিল একই। তখন তাঁদের বয়সও কম, ৩৩ বছর আগে দুই বন্ধুর আয়োজনে শুরু হয়েছিল ভীম দেবের পুজো। সেই থেকে নিজেদের কাজকর্ম, পরিবার বজায় রেখেই প্রতিবছর ভীম পুজোর আয়োজন করে চলেছে এই দুই বন্ধুতে।
advertisement
এই প্রসঙ্গে অসিত এবং অমিত জানান, গ্রামে অন্যান্য পুজো অনুষ্ঠিত হলেও ভীম পুজোর চল ছিল না। সেই দিক থেকেই গ্রামে এই পুজো শুরু করার ইচ্ছা জাগে। শুরুতে বিশালাকার প্রতিমা পুজোর আয়োজন হত আরও জাঁকজমক করে। তবে বর্তমানে পুজোর বহর বা জৌলুস কিছুটা কমেছে। অসিত বলেন, ছেলেমেয়েদেরও বলে রেখেছি, এ পুজো যেন তারা চালিয়ে যায়। এটাই আমাদের দুই বন্ধুর শখ।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
মহাভারতের পঞ্চ পাণ্ডবের বাহুবলি ভীম। আর এই ভীম দেবতার কৃপায় স্বাচ্ছন্দে দিন কেটে যায় বলে জানিয়েছেন দুই বন্ধু অসিত ও অমিত। দুই বন্ধুর কাঁধে ভর করেই পুজো উপলক্ষে কয়েকদিন ব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠানও চলে। প্রতি বছর গ্রামের মানুষ অংশগ্রহণ করে এই পুজোয়। এক সময় এতো বড় প্রতিমা হতো ঘাড় উঁচিয়ে দেখতে হত। গ্রামের সমস্ত মানুষ এই পুজোয় অংশ গ্রহণ করলেও চাঁদা ছাড়াই এই পুজো অনুষ্ঠিত হয়। পুজোর যাবতীয় খরচ-খরচার দ্বায়িত্ব দুই বন্ধু ভাগ করে নেয়। এভাবেই প্রায় ৩৩ বছর ধরে ভীম পুজোর আয়োজন চলে আসছে এই গ্রামে।
রাকেশ মাইতি