আরও পড়ুন: জঞ্জাল পোড়াচ্ছিল, সেই আগুনে পুড়ল তিনটি বাড়ি
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের আপ্রাণ চেষ্টায় পুনর্জীবন লাভ করল এই স্কুল। উল্লেখ্য ২০১০ সালে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় বেশ কিছু জুনিয়র হাইস্কুল তৈরির কথা ঘোষণা করা হয় সরকারের পক্ষ থেকে। যেখানে শিক্ষালাভ করতে পারবে পঞ্চম শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ছাত্র-ছাত্রীরা। সেই মত ২০১৩ সালে পাথরপ্রতিমা ব্লকের রামগঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতের দেবীচক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ঢিল ছোড়া দূরত্বে গড়ে ওঠে দেবীর চক জুনিয়র হাই স্কুল। প্রথমে হাই স্কুলের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের দিয়ে স্কুলগুলো চালানোর চেষ্টা করা হয়। কিন্তু যখন ওই সমস্ত শিক্ষকের বয়স যখন ৬৫ হয়ে যায় তাঁরা অবসর নিয়ে চলে যান।
advertisement
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
এরপরই শিক্ষকের অভাবে ভুগতে শুরু করে এই স্কুলগুলো। শিক্ষকের অভাবে ছাত্র-ছাত্রীরা স্কুল ছাড়তে থাকে। ঠিক তখনই ত্রাতার ভূমিকায় দেখা যায় পাশের দেবীচক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের। প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষকরা বিনা পারিশ্রমিকে জুনিয়র হাইস্কুলের দায়িত্ব নেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। আর তাঁদের সাহায্যে জন্য এগিয়ে আসে পাথরপ্রতিমা উত্তর চক্রের অবর বিদ্যালয় পরিদর্শক শ্যামল মল্লিক। তিনি শিক্ষকদের কথায় সম্মতি জানান। শিক্ষকদের উদ্যোগে বর্তমানে জুনিয়র হাইস্কুলের কর্তৃপক্ষ বাড়ি বাড়ি ঘুরে ৩২ জন ছাত্র ভর্তি করা করেছে। এই কাজ করতে গিয়ে দুটি স্কুলে ৬ জন ক্যাজুয়াল শিক্ষক-শিক্ষিকা নেওয়া হয়েছে, যাদের পারিশ্রমিকের দায়িত্ব নেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের স্থায়ী শিক্ষকরা। নতুন করে স্কুল চালু হওয়ায় খুশি সকলেই।
নবাব মল্লিক