আরও পড়ুন: স্মার্টফোন না থাকলে এক্স-রে হবে না! সরকারি হাসপাতালে আজব ‘বিধান’
বেশ কয়েকবছর ধরে বিশেষজ্ঞরা সুন্দরবনের বিভিন্ন নদ-নদীর জলস্তর বৃদ্ধির আভাস দিচ্ছিলেন। সেই জলস্তর বৃদ্ধির হার কোনও কোনও জায়গায় ৮ মিলিমিটারেরও বেশি। এই বৃদ্ধির হার যদি ২.৫ সেমিতে পৌঁছে যায় তাহলে জলের তলায় চলে যেতে পারে সুন্দরবনের বহু দ্বীপ। ব্রজবল্লভপুর, রাক্ষসখালি, জি-প্লট, ঘোড়ামারা, সাগর, মৌসুনি সহ একাধিক দ্বীপ জলমগ্ন হয়ে যাবে। সেই জল আর নামবে না, ফলে ভবিষ্যতে বাস্তবচ্যুত হতে হবে এখানকার লক্ষ লক্ষ মানুষকে। জলবায়ু পরিবর্তনের এই প্রভাব যদি রোধ করা না যায় তাহলে আগামীতে ভয়াবহ দিনের সম্মুখীন হতে চলেছে গোটা সুন্দরবন, এমনই আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের।
advertisement
সেই আশঙ্কা সত্যি করে সম্প্রতি অসময়ে কাকদ্বীপের রামগোপালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের হরেন্দ্রনগর গ্রামের নদীবাঁধ ভেঙেছে। গাছপালা ও ইলেকট্রিকের পোস্ট সহ চাষজমি ধসের কবলে পড়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বর্ষার সময় গোবদিয়া নদীর এই বাঁধটি ধসে গিয়েছিল। পরে মেরামত করা হয়। কিন্তু এবার বর্ষার বহু আগেই আবার ধস নামল।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
সাধারণত এই সময় কোনওভাবেই নদীবাঁধ ভাঙার কথা নয়। আর সেইজন্যই সুন্দরবনের নদীবাঁধ ও জীবন জীবিকা রক্ষা কমিটির পক্ষ থেকে সংগঠনের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সম্পাদক সুজিত পাত্র জানিয়েছেন, বিশেষজ্ঞদের রিপোর্টগুলি সঠিকভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে না। যার প্রভাব পড়ছে ধীরে ধীরে। দ্রুত কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে ভবিষ্যতে আরও সমস্যা হবে বলে জানান তিনি।
নবাব মল্লিক