TRENDING:

Bengali News: অন্যদের বাঁচাতে গিয়ে ছোটবেলাতেই হারান দুই হাত, জীবন যুদ্ধে অদম্য প্রশান্ত

Last Updated:

কাটা হাতে বালা পরে রোজগার করেন তিনি। কাটা হাতের অবশিষ্টাংশে একটি বালা পরে কাঁসর বাজিয়ে বিভিন্ন ট্রেনে চেপে কীর্তন গান

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
বীরভূম: ইচ্ছেশক্তির জোর থাকলে কোনও কিছুই জীবন যুদ্ধে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে না। তা ফের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন বীরভূমের প্রশান্ত দাস। জন্ম‌এর পর সবকিছু ঠিক থাকলেও ক্লাস সিক্সের পর জীবনটাই বদলে যায়। কাঁধের দু’পাশ থেকে দুটো হাত নেই। এত প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও হার মানেননি প্রশান্ত। জীবন যুদ্ধে টিকে থাকতে কাটা হাতে বালা পরে রোজগার করছেন তিনি।
advertisement

আরও পড়ুন: মধু পুরনো হল, মৌমাছি পালন করে এই জিনিসগুলোর মাধ্যমে বিপুল লাভ করুন

বীরভূমের সাঁইথিয়া শহরের ১২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা প্রশান্ত দাস। এই প্রতিবন্ধকতাকে জীবন যুদ্ধের লড়াইয়ে কখনও জিততে দেননি। শুধুমাত্র দুটো অন্ন সংস্থানের জন্য নিজের জীবনের কঠিনতম অবস্থায় থেকেও এক‌ কঠিন কাজ বেছে‌ নিয়েছেন তিনি।

advertisement

কাটা হাতে বালা পরে রোজগার করেন তিনি। কাটা হাতের অবশিষ্টাংশে একটি বালা পরে কাঁসর বাজিয়ে বিভিন্ন ট্রেনে চেপে কীর্তন গান। এভাবেই রোজগার করছেন তিনি। প্রশান্তের জীবন কাহিনী সিনেমার প্রেক্ষাপটকেও হার মানাবে। প্রথম থেকেই যে তাঁর হাত দুটি কাটা বা হাত নেই তা নয়। তবে কীভাবে ঘটল এই বিপত্তি? এই বিষয়ে প্রশান্ত দাস জানান, তিনি যখন ক্লাস সিক্সে পড়তেন সেই সময় স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে দেখতে পান রাস্তার মধ্যে একটি ইলেকট্রিক তার ছিঁড়ে পড়ে আছে। মনে হয়েছিল, এই ইলেকট্রিক তার থেকে অন্য কারোর বিপদ হতে পারে। তিনি পায়ে করে তারটি সরাতে গেলে হাত পড়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে সেখানেই জ্ঞান হারিয়েছিলেন। চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা দেখেন হাতের অবস্থা খারাপ। এরপর প্রাণ বাঁচাতে তাঁর দুটি হাট কেটে বাদ দেওয়া হয়।

advertisement

View More

তবে বিশেষভাবে সক্ষম বলে যে তার পাশে তার পরিবারের লোকজন ছিল না সেটা নয়। বাড়ির লোকজনের সহযোগিতায় তিনে ধীরে ধীরে সেই দুর্ঘটনা ভুলে স্বাভাবিক হন। বড় হওয়ার পর বিয়ে করেন। এখন তাঁর স্ত্রী সব সময় সমর্থন করেন। বর্তমানে প্রশান্তের বাড়িতে রয়েছে স্ত্রী ছাড়াও মা, বাবা এবং একটি ছোট ছেলে আছে।

advertisement

আরও খবর পড়তে ফলো করুন

https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F

ট্রেনের মধ্যে কীর্তন গেয়ে কোনও দিন তিনি ৩০০-৪০০ টাকা, আবার কখনও কখনও ১০০০ টাকা পর্যন্ত উপার্জন করেন। সকালে উঠে তিনি খাওয়া-দাওয়া সেরে হাতে বালা পরে কাঁসর নিয়ে বেরিয়ে পড়েন স্টেশনে স্টেশনে।

সেরা ভিডিও

আরও দেখুন
১৭ রাজ্য পাড়ি দিয়ে শান্তির বার্তা — স্কুটিতে একা অভিযানে বর্ধমানের শিক্ষিকা
আরও দেখুন

সৌভিক রায়

বাংলা খবর/ খবর/দক্ষিণবঙ্গ/
Bengali News: অন্যদের বাঁচাতে গিয়ে ছোটবেলাতেই হারান দুই হাত, জীবন যুদ্ধে অদম্য প্রশান্ত
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল