চিকিৎসা পরিষেবার এমন বেহাল দৃশ্য উঠে এসেছে কাটোয়া-১ ব্লকের সুদপুর প্রাথমিক সুস্বাস্থ্য কেন্দ্রে। এখানকার রোগীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, এটা একদিনের নয় বরং রোজের ছবি। প্রায় দিনই দেরি করে স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি খোলা হয়।
আরও পড়ুন: জলবায়ুর উপর কৃষিকাজ কতখানি নির্ভরশীল? জানুন পুরোটা
এই স্বাস্থ্য কেন্দ্রটি নিয়ে রোগীদের আলও অনেক অভিযোগ আছে। দেরি করে খোলায় হামেশাই রোগীরা ডাক্তার না দেখিয়ে বাড়ি ফিরে যেতে বাধ্য হন। পাশাপাশি তাঁদের অভিযোগ, চিকিৎসকরা ভাল করে দেখেন না, মুখের কথা শুনেই ওষুধ লিখে দেন।
advertisement
শনিবার বেলা ১১:১০ নাগাদ ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে কর্মরত ফার্মাসিস্ট চিরঞ্জিত পণ্ডিত এসে তালা খোলেন। দেরি করে খোলার কারণ প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন , বাইক খারাপ হয়ে যাওয়ায় আসতে একটু দেরি হয়েছে। তিনি দাবি করেন, অন্যান্য দিন ১০ টা ১০-১৫-এর মধ্যে খুলে যায়। সাফাইয়ের সুরে বলেন, যেহুতু সবটা তিনি একাই দেখেন তাই অনেকক্ষণ ধরে এখানে থাকতে হয়। ফার্মাসিস্ট চিরঞ্জিত পণ্ডিত জানান, এই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে একজন মেডিকেল অফিসার, একজন ফার্মাসিস্ট, একজন নার্স এবং একজন জিডিএ স্টাফ থাকা দরকার। কিন্তু জিডিএ-এর পোস্ট দীর্ঘদিন ধরে ফাঁকা পড়ে আছে।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
নার্স আছেন, কিন্তু ব্লকে ডিউটি করার কারণে তিনি সপ্তাহে এক-দু’দিনের বেশি আসতে পারেন না। সপ্তাহে ২- ৩ দিন আসেন চিকিৎসক। এদিনও স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ডাক্তারবাবু অনুপস্থিত ছিলেন। রোগীরা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে আসেন এবং ডাক্তার না থাকায় ফার্মাসিস্টের কাছে ওষুধ নিয়ে ফিরে যান। এই বিষয়ে স্বাস্থ্যকেন্দ্রের মেডিকেল অফিসার তন্ময় সরকার বলেন, শরীর খারাপ থাকার কারণে এদিন আসতে পারেননি।
বনোয়ারীলাল চৌধুরী