আরও পড়ুন: নৌকাডুবির ঘটনাতেও ফেরেনি হুঁশ, ঝুঁকি নিয়েই খেয়া পারাপার রূপনারায়ণে
এই মামলার সরকারি আইনজীবী অতনু দে পূজা বাউরি হত্যা মামলার সম্পূর্ণ বৃত্তান্ত জানান। বাঁকুড়া শহরের আশ্রমপাড়ার পূজা বাউরির স্বামী মুলুক চাঁদ সেন আত্মীয়ের বাড়ি যাবেন বলে ৭ এপ্রিল, ২০১৫ সালে পূজাকে নিয়ে পূর্ব বর্ধমানের বেলনা গ্রামে গিয়ে হাজির হন। তারপর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন পূজা। এরপর ১২ এপ্রিল পূজা বাউড়ির পরিবারের লোকজন পূর্ব বর্ধমানের বেলনা গ্রামে গিয়ে দেখেন নিশ্চিন্তে ক্যারাম খেলছেন তার স্বামী মুলুক চাঁদ সেন। ১৪ তারিখ বাঁকুড়ার মহিলা থানায় পূজা বাউরির পরিবারের তরফ থেকে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়।
advertisement
অভিযোগ পেয়ে পুলিশ ৩৬৩, ৩৬৫ এবং ৩৪ ধারায় মামলা শুরু করে। ইতিমধ্যে ‘ভ্যানিশ’ হয়ে যায় মুলুক চাঁদ। সূত্র মারফত খবর পেয়ে বাঁকুড়া মহিলা থানা মুলুক চাঁদ সেনের বাবা-মাকে গ্রেফতার করে। বাবা-মাকে জেরা করে পাওয়া যায় মুলুক চাঁদের হদিস। ২৭ এপ্রিল গ্রেফতার হন মুলুক চাঁদ। কিন্তু তদন্তে নানারকমভাবে বিভ্রান্তি তৈরির অভিযোগ ওঠে মুলুক চাঁদ সেনের বিরুদ্ধে। অবশেষে পুলিশি জেরায় ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে স্ত্রী পূজা বাউরিকে হত্যার কথা স্বীকার করে মুলুক চাঁদ। পূর্ব বর্ধমান জেলার বেলনা গ্রামের মদন সরদারের বাড়ির নীচ থেকে পাওয়া যায় পূজা বাউড়ির দেহ।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
সোমবার মামলার মূল অভিযুক্ত মূলক চাঁদ সেনের সাজা ঘোষণা করলেন বাঁকুড়ার জেলা জজ। ৩০২ ধারায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে আরও ৬ মাসের অতিরিক্ত কারাদন্ড ভোগ করতে হবে। এছাড়াও ২০১ ধারায় প্রমাণ লোপাট এবং তদন্তে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টায় ৫ বছরের জেল এবং আরও ১০ হাজার টাকার জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানা না দিতে পারলে অতিরিক্ত ৩ মাসের জেল হবে।
নীলাঞ্জন ব্যানার্জী