আরও পড়ুন: রাস্তা না পার্কিং লট! রোজ ট্রেন মিস করছে বারুইপুরের মানুষ
অমৃত ভারত প্রকল্পের আওতায় সাড়ে সাত কোটি টাকা ব্যয়ে শান্তিপুর স্টেশনের আধুনিকীকরণের সিদ্ধান্ত আগেই নিয়েছিল রেল। ইতিমধ্যেই সারা ভারতবর্ষের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রেল স্টেশনের মতো নদিয়ায় নবদ্বীপ, বেথুয়া, শান্তিপুরে সেই কাজ শুরু হয়ে গেছে। তবে চিরাচরিতভাবে চলে আসা স্টেশনের ওপর বিভিন্ন দোকানদারদের পুনর্বাসন নিয়ে সুস্পষ্ট কোনও ধারনা দেওয়া হয়নি রেল কর্তৃপক্ষকে। প্রত্যেকেই আশাবাদী তাঁদের অন্তত ভাতে মারবে না কর্তৃপক্ষ।
advertisement
সূত্রের খবর, শান্তিপুর স্টেশন ঢেলে সাজানোর পর রেলের পক্ষ থেকেই এখানে বেশ কিছু স্টল তৈরি করা হবে। যার মধ্যে অন্যতম হল শান্তিপুরের বিখ্যাত তাঁতের শাড়ির দোকান। তবে এক্ষেত্রেও সেই বিপণির ভাড়া কত হবে তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
বর্তমানে এই স্টেশনে একটি মাত্র দোকান মাসে প্রায় ৮০০ টাকা ভাড়া দিয়ে রেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন, সেখানে আগামীতে এককালীন সেলামি হোক কিংবা ভাড়া তা সাধারণ ছোটখাটো দোকানদারদের কতটুকু হাতের নাগালের মধ্যে থাকবে তা নিয়েই দুশ্চিন্তা পিছু ছাড়ছে না তাঁদের। যদি তাঁত শাড়ির বেশকিছু বিপণী হয় তাহলেও তা সাধারণ তাঁতিদের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে আদৌ থাকবে কিনা তা নিয়েও জল্পনা আছে। এইসব বিষয়ে রেলের পক্ষ থেকে সরকারিভাবে কিছে না জানানোয় বিভ্রান্তি আরও বেড়েছে। কিন্তু যে হকাররা এতদিন স্টেশনে চা-বিস্কুট বা অন্য কোনও সামান্য জিনিস বিক্রি করে সংসার চালাতেন তাঁরা মহাসঙ্কটে পড়ে গিয়েছেন।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3
এই প্রসঙ্গে রানাঘাটের সাংসদ জগন্নাথ সরকার বলছেন, শুধু পুনর্বাসন দেওয়া হবে তাই নয়, বাংলার বুকে গর্বের শান্তিপুরের তাঁত শাড়ি বহিরাগতরা হাতের নাগালে পাবেন স্টেশনে বসেই। আন্তর্জাতিক এবং অত্যাধুনিক মানের এই স্টেশনের কাজ শেষ হলে বহু বেকারের চাকরি হবে বলে তিনি দাবি করেন। তবে না আঁচালে বিশ্বাস নেই! তাই শান্তিপুর স্টেশনের হকাররা কিছুতেই নিশ্চিন্তে থাকতে পারছেন না।
মৈনাক দেবনাথ





