স্থানীয় সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার ওই মন্দিরে বাৎসরিক অনুষ্ঠান ছিল। সেই উপলক্ষে নানান জায়গা থেকে বহু ভক্ত এসেছিলেন। কীর্তনের পাশাপাশি মহোৎসবে ভোগ খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থাও ছিল। দুপুর দুটো থেকে তিনটের মধ্যে এই ছিনতাইয়ের যাবতীয় ঘটনা ঘটেছে বলে আক্রান্তরা জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ৬০ বছরে দৌড়ে জোড়া সোনা জয়! থাইল্যান্ডে চমকে দিলেন বাংলার অবসরপ্রাপ্ত স্কুল শিক্ষক
advertisement
যাদের হার ছিনতাই হয়েছে তাঁরা প্রায় সকলেই পঞ্চাশোর্ধ মহিলা। আলপনা দেবনাথ, শিপ্রা সাহা, রেখা চক্রবর্তী, রাধারানী হালদার, চুমকি দাস, সুজাতা সাহা, চায়না হালদার এখনও পর্যন্ত এই সাতজনের গলার সোনার হার ছিনতাই হয়েছে বলে শান্তিপুর থানায় লিখিত অভিযোগ জমা পড়েছে। অভিযোগকারীদের দাবি, মন্দিরে ওই সময় ব্যাপক ভিড় হয়েছিল। তার মধ্যে ৩-৪ জন মহিলার একটি দল ঘিরে ধরে সব লুঠ করে নেয়। সেই সময় মন্দিরের জোরে মাইক বাজছিল, ফলে আক্রান্তরা সাহায্যের চাইলেও কেউ শুনতে পায়নি।
এদিকে এই ছিনতাইয়ের ঘটনায় শান্তিপুরের ওই মন্দির কর্তৃপক্ষের দিকেও অনেকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন। তাঁদের বক্তব্য, গত কয়েক বছর ধরেই মন্দিরে মহোৎসবের দিন ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটছে। কিন্তু তবু এখানে সিসিটিভি লাগানো হয়নি। এমনকি এত বড় একটি অনুষ্ঠানের কথা আগাম শান্তিপুর থানাকে জানানো হয়নি বলেও অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়দের দাবি, পুলিশ পোস্টিং থাকলে এই ছিনতাইয়ের ঘটনা এড়ানো যেত।
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
পুলিশ প্রশাসনকে না জানিয়ে এত বড় একটি অনুষ্ঠান চালানো ভুল হয়েছে বলে কার্যত স্বীকার করে নিয়েছে মন্দির কর্তৃপক্ষ। সাফাই দিতে গিয়ে জানিয়েছে, অতিরিক্ত ভক্ত সমাগম হওয়ায় তাদের মাত্র চারটি সিসিটিভি ক্যামেরায় গোটা বিষয়টি ধরা পড়েনি।
মৈনাক দেবনাথ