আরও পড়ুন: জিটি রোড দিয়ে বইবে গঙ্গা! কীভাবে সম্ভব?
সময় বদলেছে, সঙ্গে মানুষের চাহিদা ও রুচির পরিবর্তন হয়েছে। একসময় সার্কাস ছিল বিনোদনের বড় মাধ্যম। মাঝে মাঝেই বিভিন্ন জায়গায় দেখা যেতে সার্কাসের তাঁবু। আশি বা নব্বইয়ের দশকে শিশুদের কাছে ‘সার্কাস’ শব্দটাই ছিল সবচেয়ে বড় বিনোদন। এই শব্দটার সঙ্গে জড়িয়ে আছে ফেলে আসা শৈশবের নানান রঙিন স্মৃতি। আর সেখানে ভিড় জমাত আট থেকে আশি সকল বয়সের মানুষ। কিন্তু বর্তমানে প্রযুক্তির যুগে অস্তিত্ব সঙ্কট সার্কাসের।
advertisement
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
এখন আর আগের মত খুব বেশি সার্কাসের তাঁবুর দেখা মেলে না৷ তবুও অস্তিত্বের লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে সার্কাস শিল্প। এমনই লড়াইয়ে সামিল ‘উজ্বলা সার্কাস’ও। বর্তমানে সার্কাসের তাঁবু পড়েছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার হাসনাবাদের কুমারপুকুর মেলায়।সার্কাসে জীবজন্তু নিষিদ্ধ হয়েছে অনেক বছর হল৷ আর তার প্রভাব যে কিছুটা হলেও এই শিল্পে পড়েছে তা মেনে নিয়েছেন সার্কাস কর্তৃপক্ষ। সার্কাসের জীবজন্তু নিষিদ্ধ হলে বর্তমানে জোকারের কারসাজী, ট্রাপিজের দুঃসাহসী খেলা, দড়ির ওপর হাঁটা, রোমহর্ষক বাহাদুরির খেলা যা অনায়াসে দেঢ়-দু’ঘন্টা সময় ধরে টানটান উত্তেজনায় দর্শক আগ্রহ নিয়ে বসে থাকে। সার্কাস কর্তৃপক্ষের ম্যানেজার নুর ইসলাম মণ্ডল বলেন, আগে বাঘ, সিংহ, হাতির গর্জন শুনলেই মানুষ সার্কাসে ভিড় করত। কিন্তু এখন জীবযন্তু না থাকায় অনেকে আসেন না। তবুও আয়োজকরা দর্শকদের মনোরঞ্জনে কোনও খামতি রাখেননি। আগের মত ভিড় না হলেও সার্কাসকে ঘিরে সাধারণ মানুষের উৎসাহ-উদ্দীপনা অনেকটাই আছে। তবে বহুদিন পর সার্কাসের দেখা মেলায় সেই আনন্দের ভাগ নিতে ভুলছেন না বসিরহাটের মানুষ। সার্কাস আসাতে অনেকেই খুশি। প্রতিদিন সার্কাসে উপছে পড়ছে দর্শকদের ভিড়।
জুলফিকার মোল্লা