আরও পড়ুন: রেলের সিগন্যাল ফল্ট, দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে হল উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের
তারকনাথ রায় ওরফে বাবলু জানান, তাঁর বাবা বলেছিলেন কারোর কাছে হাত না পাততে। বাবার সেই উপদেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করছেন। উচ্চমাধ্যমিকের পর টিউশনি পড়িয়ে আসছিল না সফলতা, সেই কারণেই ফিরে আসেন পাথর শিল্পে।শিল্পী তরকনাথ রায় জানান, চার-পাঁচ বছর বয়সে হটাৎ জ্বরে আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। তারপর থেকেই শরীরের নিচের অংশ কাজ করে না। বর্তমানে নিজের তিন চাকার ব্যাটারি চালিত সাইকেলেই যাতায়াত করেন বাবলু। উচ্চমাধ্যমিক পাশ করার পর চাকরি না পেয়ে বাবার শেখানো পাথর শিল্পকেই জীবনধারণের পাথেয় হিসেবে বেছে নেন বাবলু। তবে বর্তমানে পাহাড়ের পাথর ব্যবহার করতে না দেওয়ায় সংসার চালানো কঠিন হয়ে পড়ছে। বাইরে থেকে পাথর কিনে আনার শারীরিক অথবা আর্থিক ক্ষমতা না থাকায় আবারও এক কঠিন লড়াইয়ের মুখে পড়েছেন এই শিল্পী।
advertisement
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
শুশুনিয়া পাহাড়ে বেড়াতে গেলে পাহাড়ে ওঠার রাস্তার পাশেই দেখতে পাবেন বাবলুর দোকান। পাহাড়ের পাথর কাটা আইনিভাবে নিষিদ্ধ করেছে সরকার। ফলে বর্তমানে প্রবল সঙ্কটের পড়লেও হাল ছাড়তে রাজি নন এই বিশেষভাবে সক্ষম শিল্পী। তাঁর আত্মবিশ্বাসই নিশ্চয়ই আগামী দিনে বাবলুকে আবার সামনের পথ দেখাবে।
নীলাঞ্জন ব্যানার্জী