বছর তেত্রিশের আবুবক্কর মণ্ডল বেশ কয়েকবছর হল মহারাষ্ট্রে শ্রমিকের কাজ করেন। তিনি সেখানে মূলত, রাজমিস্ত্রির কাজ করতেন। স্ত্রীকে নিয়েই ওখানে বসবাস করতেন আবুবক্কর। গত রবিবার (২০ সে জুলাই) সন্ধ্যার পর থেকে আবুবক্কর মণ্ডলের কোনও খোঁজ পাচ্ছিল না তাঁর পরিবার। মোবাইল সুইচ অফ বলছিল। সেই দিন এবং পরের দিন খোঁজাখুঁজির পরেও তাঁর কোনও খোঁজ না পাওয়া গেলে তাঁর পরিবার স্থানীয় ভাসি থানায় অভিযোগ দায়ের করে। এরপর তদন্তে নামে ভাসি থানার পুলিশ।
advertisement
গত মঙ্গলবার আবুবক্কর যেখানে থাকতেন তার থেকে বেশ কিছুটা দূরে একটি ডোবার ভিতরে বস্তাবন্দি অবস্থায় টুকরো টুকরো করা তাঁর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পুলিশ তাঁর পরিবারকে সেই দেহ দেখালে তাঁর পরিবার দেহ শনাক্ত করে। এরপর দেহটির ময়নাতদন্ত হয়৷ বৃহস্পতিবার রাতে মহারাষ্ট্র থেকে তাঁর কফিনবন্দি দেহ বাদুড়িয়ার রুদ্রপুড়ে তাঁর বাড়িতে নিয়ে আসা হয়।
দেহ বাড়ি ফিরতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন তাঁর মা-বাবা সহ যআত্মীয় পরিজনরা। তাঁর পরিবার দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছে। পাশাপাশি, পরিযায়ী শ্রমিকদের উপর এরকম অত্যাচার এমনকি খুনের ঘটনা ঘটছে কেন, সে বিষয়েও মুখ্যমন্ত্রীর কাছে কাতর আবেদন করেছে তাঁর পরিবার।
আরও পড়ুন: ‘খুশি নন মোদি…,’ এক মন্ত্রী ফোন করেছিল ধনখড়কে, বলেছিল…! তারপরেই আচমকা ইস্তফার সিদ্ধান্ত
রাতেই তাঁর দেহ দাফন করা হয়। জানা গেছে, মহারাষ্ট্রের ভাসি থানার পুলিশ এই খুনের ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। ঘটনাটি মহারাষ্ট্রের ভাসি পুলিশ থানার ওয়াসিগাও এলাকার ঘটনা। আবুবক্কর মণ্ডলের বাড়ি উত্তর ২৪ পরগনার বাদুড়িয়া থানার নারায়ণপুরে।