Jagdeep Dhankhar Resignation: ‘খুশি নন মোদি...,’ এক মন্ত্রী ফোন করেছিল ধনখড়কে, বলেছিল...! তারপরেই আচমকা ইস্তফার সিদ্ধান্ত
- Published by:Satabdi Adhikary
- news18 bangla
Last Updated:
সূত্রের খবর, এই বিএসি বৈঠকের সভাপতিত্ব করেছিলেন জগদীপ ধনখড়। সন্ধ্যার বৈঠকে তিনি জেপি নাড্ডা এবং কিরেন রিজিজুর জন্য দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করেছিলেন, কিন্তু তাঁরা আসেননি। এর পরেই জগদীপ ধনখড় পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নেন।
গত ২১ জুলাই নিজের শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে উপ রাষ্ট্রপতি পদ থেকে আচমকা ইস্তফা দেন জগদীপ ধনখড়৷ পদত্যাগের সিদ্ধান্তটা যে আকস্মিক ছিল এবং অবশ্যই সেই কারণটা শারীরিক অসুস্থতা নয়, তা-ও এতদিন স্পষ্ট৷ গত বুধবার তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ওই দিন ফোন করে হুমকি দেওয়া হয়েছিল জগদীপ ধনখড়কে৷ কে দিয়েছিল সেই হুমকি?
advertisement
মঙ্গলবারই কংগ্রেসের রাজ্যসভার সদস্য জয়রাম রমেশ একটি বিবৃতিতে জানিয়েছেন, সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টায় রাজ্যসভায় বিজ়নেস অ্যাডভাইড়ারি কমিটির মিটিংয়ে ছিলেন জগদীপ ধনখড়। রমেশের দাবি, ‘ওই জেপি নাড্ডা, কিরেন রিজিজু ছিলেন। বিকেল সাড়ে ৪টায় ফের মিটিং রাখা হয়েছিল। পরের মিটিংয়ে যোগ দেন অনেকেই। কিন্তু নাড্ডা এবং রিজিজু আসেননি। জগদীপ ধনখড় নিজেও জানতেন না যে, ওই ২ মন্ত্রী আসবেন না।’ তাঁর দাবি, কিছু এমন নিশ্চয়ই হয়েছিল যে, ২ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দ্বিতীয় মিটিংয়ে আসেননি।
advertisement
জানা গিয়েছে, সোমবার স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও রাজ্যসভার সদস্য জেপি নাড্ডা এবং কেন্দ্রীয় সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী কিরেন রিজিজু জগদীপ ধনখড়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন। বিচারপতি ভার্মার বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্ট নোটিস আনার দাবি সংবলিত রাজ্যসভার ৬৩ জন সদস্য স্বাক্ষরিত একটি প্রস্তাব গ্রহণ করেছিলেন ধনখড়৷ তারপরেই আসে এই ফোন৷ ফোনের কথোপকথনের পরেই হঠাৎ রাত ৯টা নাগাদ রাষ্ট্রপতি ভবনে পৌঁছন জগদীপ ধনখড়৷ রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মূর্মূর হাতে জমা দেন ইস্তফা৷
advertisement
খবর অনুযায়ী, কিরেন রিজিজু জগদীপ ধনখড়কে বলেছিলেন যে, লোকসভায় ইমপিচমেন্টের বিষয়ে ঐকমত্য তৈরির একটি প্রস্তাব চলছে। তিনি জানান, লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধি সেই প্রস্তাবে সই-ও করেছেন৷ ফোনে রিজিজু আরও ইঙ্গিত দেন যে, এই আকস্মিক ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি খুশি নন। কিন্তু, জগদীপ ধনখড় উত্তরে বলেন যে, তিনি সংসদের নিয়ম মেনেই কাজ করছেন। এই কথোপকথনের পরেই জেপি নাড্ডা এবং কিরেন রিজিজু সোমবার বিকেল ৪:৩০ মিনিটের দ্বিতীয় বিএসি বৈঠকে যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
advertisement
advertisement
যদিও তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, ওই দিন রাতে ধনখড়ের কাছে একটি ফোন এসেছিল৷ তৃণমূল সাংসদের অভিযোগ, ‘জগদীপ ধনখড়কে চাপ দিয়ে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং কয়েকজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এই কাজ করেছেন।’ সদ্য প্রাক্তন উপ রাষ্ট্রপতিকে হুমকিও দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ তাঁর। কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, তাঁকে হুমকি দেওয়া হয়েছিল, ‘ওই দিন রাত ৯টার মধ্যে ইস্তফা না দিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্ট প্রক্রিয়া চালু করা হবে বলে’৷ এরপরই পদত্যাগ করেন ধনখড়৷