আরও পড়ুন: বহুতলে ঢালাইয়ের কাজ করার সময় ছাদ থেকে পড়ে গেলেন নির্মাণ কর্মী! তারপর যা হল…
ঘেঁটু পালকিতে মিটমিট করে জ্বলে আলো। যদিও এখন বৈদ্যুতিন আলোই ব্যবহার হয়। তবে কয়েক বছর আগেও কেরোসিনের লম্ফ বা লন্ঠন জ্বলতে দেখা যেত। ঝুরির উপর দড়ি দিয়ে হাতল অথবা লাঠি দিয়ে হাতল তৈরি করা হয়। এটির নাম ঘন্টকর্ণের পালকি। ঘেঁটু পালকি ছাড়াও এদিন নানা সাজে সেজে ওঠে ছোটরা। কেউ শিব, কেউ রাধাকৃষ্ণ আবার বর-কনের মত নানা সাজ দেখা যায়। ৪-৫ বছর বয়স থেকে ১০-১২ বছর বয়সের ছেলেমেয়েদের মধ্যেই ঘেঁটু উৎসবে অংশগ্রহণ সর্বাধিক। ফাল্গুন সংক্রান্তির সন্ধে নামলেই একহাতে ঘেঁটুর পালকি অন্য হাতে ঝোলা নিয়ে বেরিয়ে পড়ে কচি-কাঁচারা।
advertisement
আরও খবর পড়তে ফলো করুন
https://whatsapp.com/channel/0029VaA776LIN9is56YiLj3F
আকন্দ ঘেঁটু ও ধুতরো এই তিনটিই শিবঠাকুরের পরম প্রিয় ফুল। জানা যায়, পুরাণ-অনুসারে এই ঘেঁটু বা ঘণ্টকর্ণের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে শিবের। সে কালের ছেলেবেলায় ঘেঁটু উৎসবের আনন্দ ছিল অন্য মাত্রায়। দিন কয়েক আগে থেকেই ঘেঁটু উৎসবের পরিকল্পনা চলত। আগের দিন বা ফাল্গুন সংক্রান্তির দিন সকাল থেকে ফুল সংগ্রহ থেকে ঘেঁটু পালকির প্রস্তুতি চলত।এই প্রসঙ্গে সৈকত ঘোষ জানান, সে সময় তিনদিন ধরে চলতে ঘেঁটু উৎসব। ঘেঁটু উৎসব ঘিরে তখন শৈশবের আনন্দটা অন্য মাত্রার ছিল। সবাই মিলে একটা ঘেঁটু নিয়ে বাড়ি বাড়ি ঘোরা হত।
রাকেশ মাইতি