তবে প্রতি মাসে মহিলাদের শুধু দু হাজার টাকা করে দেওয়াই নয়, তাঁদের কর্মসংস্থানেরও ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান সুকান্ত মজুমদার। রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে সুকান্ত এও বলেন, 'এই সরকারের রাজ্যের উন্নয়নের দিকে নজর নেই। ভোট ব্যাঙ্কের স্বার্থে শুধু দান খয়রাতি করে রাজ্যের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি ক্রমশ সংকটের পথে নিয়ে যাচ্ছে। রাজ্যে সার্বিক উন্নয়নে বিকল্প একমাত্র বিজেপিই'।
advertisement
আরও পড়ুন: প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী করে ছাড়ব! প্রণাম- সৌজন্য পর্ব মিটতেই মমতাকে চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, 'পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে মহিলাদের কাছে টানার লক্ষ্যেই ২ হাজার টাকার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে। কেননা সাম্প্রতিক নির্বাচনের ফলাফলে দেখা গেছে রাজ্যের মহিলাদের একটি বড় অংশ তৃণমূল কংগ্রেসকেই সমর্থন করেছে। তাই মহিলাদের ভোট ব্যাঙ্কে ফাটল ধরাতেই লক্ষ্মীর ভান্ডারের টাকা ৫০০ থেকে বাড়িয়ে ২০০০ টাকা করার ঘোষণা করা হয়েছে'। প্রসঙ্গত, আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত পাণ্ডবেশ্বর বিধানসভা এলাকায় এদিনের কর্মী সম্মেলনের সভামঞ্চে হাজির ছিলেন বিজেপির জাতীয় কর্ম সমিতি তথা এ রাজ্যের কোর কমিটির সদস্য মিঠুন চক্রবর্তীও।
আরও পড়ুন: তৃণমূলকে হারাতে মহাজোট চান মহাগুরু! পত্রপাঠ খারিজ সিপিএমের, জবাব দিলেন কুণাল
তৃণমূল সরকারকে নিশানা করে মিঠুন নিজের বক্তব্য রাখার সময় বলেন,' এ রাজ্যে শাসকদলের কাছে রাজ্যের মানুষকে হিংসা দেওয়া ছাড়া আর কোনও কিছু দেওয়ার নেই। বাংলার সার্বিক উন্নয়ন যদি কেউ ঘটাতে পারে তাহলে তা বিজেপিই পারবে'। পুরুলিয়া, বাঁকুড়ার পাশাপাশি এদিন পাণ্ডবেশ্বরের সভামঞ্চ থেকেও সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশ নেন মহাগুরু মিঠুন চক্রবর্তী। সাধারণ মানুষের কাছ থেকে নানান অভাব অভিযোগের কথাও শোনেন। ঠিক তখনই বিজেপির কয়েকজন কর্মী মিঠুন চক্রবর্তীর কাছে ক্ষোভের সুরে নালিশ জানিয়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের সামনেই জেলার নেতাদের বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগে সরব হন। বলেন, 'নেতাদের অভিযোগ জানিয়েও কোনও লাভ হয় না। পাশে পাই না'। এই নালিশ শোনা মাত্রই মিঠুন চক্রবর্তী জেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাকে মঞ্চে নিজের কাছে ডেকে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখার কথা বলেন।