অসীম ঘোষ হলেন হরিয়ানার নতুন রাজ্যপাল। বাংলার রাজনীতিতে অসীম ঘোষ বহু পুরনো মুখ। ১৯৪৪ সালে হাওড়ায় তাঁর জন্ম।বিদ্যাসাগর কলেজ থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের স্নাতক হওয়ার পর কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন তিনি। ১৯৬৬ সাল থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত তিনি রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
advertisement
১৯৯১ সালে বিজেপিতে যোগ দেন তিনি। এরপর ধাপে ধাপে তিনি দলের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে আসীন হন—১৯৯৬ সালে রাজ্য সম্পাদক, ১৯৯৮ সালে সহ-সভাপতি এবং ১৯৯৯ থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত রাজ্য সভাপতির পদে ছিলেন। ২০০৩-২০০৫ সাল পর্যন্ত ত্রিপুরার পর্যবেক্ষকের দায়িত্বভার পালন করেন। ২০০৪-২০০৬ পর্যন্ত বিজেপির রাষ্ট্রীয় কর্ম সমিতির সদস্য ছিলেন অসীম কুমার ঘোষ। বর্তমান রাজ্য সভাপতি শমীক ভট্টাচার্যের নির্বাচনের সময় ন্যাশনাল কাউন্সিলের সদস্য ছিলেন তিনি। খবর আসার পরেই অসীম ঘোষ বলেন, বড় দায়িত্ব। সাংবিধানিক পদ, সংবিধান মেনে কাজ করতে হয়। মুখ্যমন্ত্রী (নয়াব সিং সাইনি), অন্যান্য মন্ত্রী, আমলাদের সহায়তা করব। হরিয়ানার উন্নতির জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে সঠিক উপদেশ দেওয়ার চেষ্টা করব। হরিয়ানার শিক্ষাক্ষেত্রে উন্নতি বিশেষত মেয়েদের শিক্ষার প্রসার, আদিবাসী, অন্যান্য জনজাতিদের উন্নতির বিষয়ে খেয়াল রাখার কথাও বলেন তিনি।
অসীম ঘোষ আরও বলেন, ”আমি সেই দিনের অপেক্ষায় রয়েছি, যে দিন পশ্চিমবঙ্গ তার পুরোনো গৌরব ফিরে পাবে। আজকে রাজ্যে অনেক সমস্যা। এখন যে কালো দিন, তার একদিন অবসান হবে। পাশাপাশি আগে বাংলায় শিল্পের যে সুদিন ছিল, তা ফিরিয়ে আনার জন্য শাসক-বিরোধী সকলে চেষ্টা করবে, এটা সকলের দায়িত্ব বলে জানান তিনি।”
মাছ এবং মিষ্টি প্রেমিক বাঙালি অসীম ঘোষের এই সাফল্যে স্বভাবতই আনন্দিত তাঁর স্ত্রী মিত্রা ঘোষ। যে সময় অসীম ঘোষ বিজেপির রাজ্য সভাপতি ছিলেন, সেই সময় বিজেপির এত আধিপত্য ছিল না বলেই জানান তাঁর স্ত্রী মিত্রা ঘোষ। তাই অসীম ঘোষের এই রাজনৈতিক ক্যারিয়ার খুব একটা সহজ ছিল না।
অসীম কুমার ঘোষ বাংলা থেকে চতুর্থ রাজ্যপাল। এর আগে কংগ্রেস জমানায় পঞ্জাবের রাজ্যপাল হন সিদ্ধার্থশঙ্কর রায়। অটলবিহারী বাজপেয়ীর আমলে রাজ্য বিজেপির আর এক প্রাক্তন সভাপতি বিষ্ণুকান্ত শাস্ত্রীকে উত্তরপ্রদেশের রাজ্যপাল করা হয়েছিল। এরপর মোদির জমানায় দুই দফায় ত্রিপুরা এবং মেঘালয়ের রাজ্যপাল হন তথাগত রায়। তিনিও একটা সময় বঙ্গ বিজেপির সভাপতি ছিলেন। এবারে বঙ্গ বিজেপির আরও এক প্রাক্তন সভাপতি রাজ্যপালের পদ পাচ্ছেন।
—- রাকেশ মাইতি