খেলা শেষে বাড়ি ফেরার পথে বেলুড়ের টিফিন বাজার এলাকার নোনা পুকুরে হাত-পা ধুতে জলে নেমেছিল গুড্ডু গোঁদ। হঠাৎ পা পিছলে যায় তার। বন্ধু তলিয়ে যাচ্ছে। সাঁতারও জানে না, রীতিমতো হাবুডুবু খাচ্ছে গুড্ডু। বন্ধুর এই অবস্থা দেখে, অঙ্কিত মিশ্রা সাতপাঁচ না ভেবে বন্ধুকে বাঁচাতে জলে ঝাঁপিয়ে পড়ে। কিন্তু অঙ্কিতও সাঁতার জানত না। ফলে সেও তলিয়ে যেতে থাকে।
advertisement
আরও পড়ুন : অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী ঘরে অপেক্ষায়! বাইক দুর্ঘটনায় প্রাণ গেল নাবালক স্বামী ও এক যুবতীর
দুই বন্ধু পুকুরে তলিয়ে যাচ্ছে দেখে আর এক বন্ধু চিৎকার শুরু করে। তৃতীয় বন্ধুটি ডাঙায় থেকে তাদের বাঁচানোর জন্য চিৎকার শুরু করে। চিৎকারে এলাকার লোকজন ছুটে আসেন। তাঁরা জলে নেমে দুজনকে তুলে হাসপাতালে পাঠান। কিন্তু ততক্ষণে সব শেষ। চিকিৎসকরা দুই ছাত্রকে মৃত ঘোষণা করা করেন। জানা গিয়েছে, মৃত এক ছাত্র বালির বাসিন্দা। ১৩ বছর বয়সী গুড্ডু গোঁদ। অঙ্কিত মিশ্রের বয়সও একই। অঙ্কিত ১৭ নম্বর লালাবাবু সায়ার রোডের বাসিন্দা।
আরও পড়ুন : ভিন রাজ্যে গিয়ে ফের মর্মান্তিক পরিণতি পরিযায়ী শ্রমিকের! দেহ কবে ফিরবে? জানে না পরিবার
অন্যদিকে হাওড়ায় দালাল পুকুরে পড়ে মৃত এক ব্যক্তি। রাত ১২ টার দিকে একটি পুকুরের রেলিংয়ে বসে থাকার সময় আচমকাই পুকুরে পড়ে যান এক ব্যক্তি। স্থানীয় বাসিন্দারা দীর্ঘক্ষণ খোঁজাখুঁজি করেও তাকে খুঁজে পাননি। খবর দেওয়া হয় থানায়। পুলিশ এসে জাল ফেলে খোঁজার চেষ্টা করে। পুলিশের চেষ্টা ব্যর্থ হলে বিপর্যয় মোকাবিলা দল আসে রবিবার। পুকুরে ডুবুরি নামিয়ে ব্যক্তির দেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
জানা গিয়েছে, মৃত ওই ব্যক্তির নাম হাবু নায়েক। বয়স ৪০ বছর। তিনি হাওড়ার মহেন্দ্র ভট্টাচার্য রোডের বাসিন্দা ছিলেন। তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। যে ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। কীভাবে তিনি পুকুরে পড়লেন, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে চ্যাটার্জিহাট থানার পুলিশ। মৃতদেহটি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।