ভৌগোলিক অবস্থানগত বৈচিত্র্যের কারণে জঙ্গলমহলকে ঢেলে সাজিয়েছে প্রকৃতি। মাঝে লাল মাটি, শাল-মহুয়ায় পাহাড় ঘেরা জঙ্গলমহল। জঙ্গলমহল বললে সবার আগে আলোচনায় উঠে আসতে পারে ঝাড়গ্রামের কথা। ঝাড়গ্রাম এখন রাজ্যের অন্যতম প্রধান একটি পর্যটন স্থল।
আরও পড়ুন: দুর্গম বেলপাহাড়িতে এই সবজি চাষ করে বিপুল টাকা আয় করছেন কৃষকরা !
এই জেলার কিছু জায়গার নাম এখন প্রায় সকলেই জানেন। আবার এমনও অনেক জায়গা এখনও রয়েছে যেগুলো পর্যটকদের চোখে দেখা এখনও বাকি। আজ এই প্রতিবেদনে তেমনই একটি জায়গার কথা তুলে ধরা হল, যেখানের নাম, ঠিকানা এখনও অনেকেই জানেন না; এক্কেবারে অফবিট ট্যুরিস্ট ডেস্টিনেশন। এই সাদা রঙের পাহাড় আগে কোথাও দেখেছেন কিনা তা নিয়ে সন্দেহ আছে। বেলপাহাড়ির সন্দাপাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বোদাডিহি গ্রাম সংলগ্ন এলাকায় দেখা পাবেন এই শিলাস্তূপের। এখন ঝাড়গ্রামে পর্যটকদের গন্তব্য ‘সাদা পাহাড়’।
advertisement
বর্ষায় বেড়াতে যাওয়ার আনন্দ আলাদা। এই মরশুমে চারপাশ সবুজ আর সতেজ হয়ে ওঠে। বর্ষাতেই প্রকৃতির রূপ খোলে। তবে বেড়াতে যাওয়ার কথা উঠলেই হয় পাহাড় কিংবা সমুদ্রের কথা মনে পড়ে।
আরও পড়ুন: ‘শালুই’ কি জানেন ? এই জিনিস থেকে সহজেই আয় হচ্ছে মোটা টাকা !
কিন্তু বর্ষার আবহে বেড়িয়ে আসতে পারেন পাহাড় ঘেরা জঙ্গল থেকে। বর্ষায় ভ্রমণ মন্দ হবে না। ঝাড়গ্রামের নাম শুনলে মানুষ আগে ভয় পেতেন। মাওবাদী উপদ্রবের কারণে সেখানের বনে জঙ্গলে ঘুরতে যাওয়ার কথা একটা সময় কেউ ভাবতেই পারতেন না। লোধাশুলি, আমলাশোলের মতো জঙ্গলমহলের কিছু জায়গা, যেখানে দেখার মতো প্রাকৃতিক শোভা, সেখানেও নেহাত শখ মেটানোর জন্য কেউ পা বাড়াতেন না। এখন সময় বদলেছে। পরিস্থিতি আগের মতো নেই। মানুষ খোলা মনে জঙ্গলমহল থেকে ঘুরে আসছেন। সেখানকার পর্যটন শিল্প যাতে আরও ফুলে-ফেঁপে ওঠে সে ব্যাপারে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে প্রশাসন।
ঝাড়গ্রাম শহর থেকে বেলপাহাড়ি, হয়ে কাঁকড়াঝোড় যাবার পথে মাত্র আট কিমি রাস্তা। ঝাড়গ্রাম শহর থেকে বেলপাহাড়ির ইন্দিরা স্ট্যাচু, কেন্দাপাড়া গ্রাম হয়ে কয়েক কিলোমিটার গেলেই পৌঁছে যাবেন বোদাডিহি গ্রামে। এই গ্রামে গেলেই সাদাপাহাড়ের সন্ধান পাবেন। আসলে বন জঙ্গলের আড়ালে অনেক দিন লুকিয়ে ছিল এই পাহাড়। বেশ কিছু সিনেমার শুটিং হতেই নজর আসে এই সাদা পাহাড়ের।
তন্ময় নন্দী