মুর্শিদাবাদ জেলার অন্যতম বড় উৎসব কার্তিক পুজো। কার্তিক পুজোর পর মঙ্গলবার দিন-রাত শ’তিনেক ছোট-বড় মূর্তির নিরঞ্জনকে ঘিরে যাবতীয় উন্মাদনা দেখা গিয়েছে। বড় মূর্তিগুলির গড় উচ্চতা ১২-১৪ ফুট। সেগুলিকে কাঠামো-সহ বাঁশের মাচায় চাপিয়ে শহরের রাস্তা দিয়ে বাদ্যযন্ত্র-সহকারে শোভাযাত্রা বের হয়। কে-কত ভাল শোভাযাত্রা করল, তা নিয়ে মূলত লড়াই। আর এই কার্তিক লড়াই নজর কাড়ে পর্যটকদের।
advertisement
আরও পড়ুন : ফলোয়ার রয়েছে পাকিস্তান, বাংলাদেশে! নামখানায় নিজেই গড়ছেন পাখির বিশাল সাম্রাজ্য, দেখলে মন ভরে যাবে
কয়েকশো বছরের পুরনো ছুতারপাড়ার বাথানগড়ের বুড়ো শিব দেখতে ভিড় হয় সবচেয়ে বেশি। শহরের সবচেয়ে বড় শোভাযাত্রা হয় বুড়ো শিবের। সবচেয়ে পুরনো হিসাবে ধরলে আবার বেনেপাড়ার বাবু কার্তিক এগিয়ে। এছাড়া হাতিঢিপির হাতি কার্তিক, ঘোষ পাড়ার হাতি কার্তিক, চ্যাটার্জি পাড়ার রাজ কার্তিক, কামার পাড়ার জাগ্রত নটরাজ পুজো সাধারণ মানুষের আকর্ষমের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকে। ছাপাখানা নবারুণ সঙ্ঘের দক্ষযজ্ঞ পুজোর আলোকসজ্জা দেখে মোহিত হয়ে যান বেলডাঙাবাসী। আলোর সাজে তাদের সঙ্গে পাল্লা দেয় শিশির সঙ্ঘ।
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
কামারপাড়া জাগ্রত নটরাজ পুজো দেখতে ভিড় জমান বহু সাধারণ মানুষ। চলে বিশেষ পুজো। অন্যদিকে কার্তিক লড়াইকে কেন্দ্র করে মঙ্গলবার বিকাল থেকেই বেলডাঙা শহরে পুলিশি নিরাপত্তা ছিল চোখে পড়ার মতো। যে কোনও রকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে মোতায়েন করা হয়েছিল বিশাল পুলিশ বাহিনী। রীতিমতো টহল দিয়ে নজরদারি চালানো হয়েছে বিভিন্ন এলাকায়। তবে এই সবকিছুর মধ্যেই কার্তিক লড়াই দেখতে মানুষজনের আগ্রহ ছিল তুঙ্গে।





