এই নদীপথটি ভারত-বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক জলপথ হওয়ায় এখানে নিয়মিত বাংলাদেশি বার্জ চলাচল করে। পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে সুন্দরবন জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে বিশেষ তৎপরতা শুরু হয়েছে।
সুন্দরবনের পুলিশ জলপথে টহল চালিয়ে বিভিন্ন মৎস্যজীবী ট্রলার ও বাংলাদেশি বার্জের কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে। নদীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ঘাটে নাকা চেকিং চলছে। সন্দেহজনক যেকোনও গতিবিধির উপর কড়া নজর রাখা হচ্ছে। ট্রলার ও বার্জে থাকা নথিপত্র খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানা গিয়েছে।
advertisement
সুন্দরবন জেলার পুলিশ সুপার কোটেশ্বর রাও জানান, বর্তমান পরিস্থিতির কারণে সুন্দরবন জুড়ে হাই-অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে। নদীপথে নিয়মিত নজরদারি ও তল্লাশি চালানো হচ্ছে যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে। সীমান্তবর্তী এই অঞ্চলে নিরাপত্তা বজায় রাখাই এখন প্রশাসনের প্রধান লক্ষ্য। গঙ্গাসাগর মেলায় যাওয়ার জন্য বেশিরভাগ পূণ্যার্থীরা দুটি পথ ব্যবহার করেন। একটি কাকদ্বীপের হারউড পয়েন্ট অপরটি নামখানা পয়েন্ট। এই নামখানা পয়েন্টের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে নদীপথে বাড়ানো হয়েছে নজরদারি।
গঙ্গাসাগর যাওয়ার জন্য শিয়ালদহ থেকে সরাসরি ট্রেনে চেপে পুণ্যার্থীরা নামখানা স্টেশনে নামে। পাশাপাশি সরাসরি বাস এবং ছোট গাড়ি নিয়েও হাজার হাজার পুণ্যার্থী নামখানার জেটিঘাটগুলিতে চলে আসেন। তারপর হাতানিয়া-দোয়ানিয়া নদীতে লঞ্চে চেপে মুড়িগঙ্গা নদীর উপর দিয়ে বেণুবন এবং চেমাগুড়ি হয়ে সাগরমেলায় পৌঁছান।এই হাতানিয়া-দোয়ানিয়া নদীপথ আন্তর্জাতিক জলপথ। এই পথে প্রতিদিন অসংখ্য বাংলাদেশি বার্জ চলাচল করে। ফলে বাংলাদেশের অশান্তির প্রেক্ষিতে এই নদীপথের গুরুত্ব বেড়েছে। সে জন্য এবার নামখানা পয়েন্টে নিরাপত্তা পরিকাঠামো কয়েকগুণ বাড়ানো হচ্ছে।





