এই ব্যতিক্রমী রাস্তাটি পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পটাশপুর ও ভগবানপুরকে সংযোগ করেছে। আড়গোয়াল গ্রাম পঞ্চায়েতের খেজুরগেছিয়া থেকে পাঁউশি পর্যন্ত মোট রাস্তার দৈর্ঘ্য প্রায় ১৫ কিলোমিটার। তার মধ্যে ১৩ কিলোমিটার একেবারেই সোজা। কোনও বাঁক নেই। এই দীর্ঘ সোজা রাস্তায় চলতে গেলে বারবার ব্রেকে পা দিতে হয় না। স্বচ্ছন্দে যানবাহন চলে। এই রাস্তায় যানজটও খুব কম দেখা যায়। ফলে অল্প সময়েই গন্তব্যে পৌঁছনো সম্ভব হয়। পথে পড়ে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বাজার। এর মধ্যে রয়েছে আড়গোয়াল গ্রাম পঞ্চায়েত অফিস, বড়উদয়পুর, কালিবাজার, সিঁয়ারি বাজার এবং অনলবেড়িয়া।
advertisement
এই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করেন। পথচারী থেকে শুরু করে বাইক ও চারচাকার চালকরাও এই রাস্তা ব্যবহার করেন। মলয় বেরা নামে এক এক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, “এই রাস্তায় যেতে এক আলাদা একটা ভাললাগা কাজ করে। দীর্ঘ সোজা পথে গাড়ি চালাতে কোনও চাপ থাকে না। চারপাশের প্রকৃতি মনকে শান্ত করে দেয়। খালের ধারে জেলেদের মাছ ধরা দেখতে ভাললাগে। আবার সর্ষের ক্ষেতে বাতাস লাগলে অন্যরকম অনুভূতি হয়। অন্য অনেক রাস্তার তুলনায় এই রাস্তায় যাতায়াত অনেক বেশি স্বস্তির।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
তমলূক পূর্ত দফতরের অধীনেই এই রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে। অনেকেই এই রাস্তার সঙ্গে স্বর্গের তুলনা করেন। সোজা পথ, দু’পাশে সবুজ গাছপালা, প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য। সব মিলিয়ে যেন কল্পনার স্বর্গ। রাস্তার এক পাশে খাল, সেখানে জেলেদের কর্মব্যস্ততা। অন্য পাশে বিস্তীর্ণ সর্ষের ক্ষেত। এই সব মিলিয়েই এই রাস্তা এখন শুধু যাতায়াতের পথ নয়। অনেকের কাছে এটি হয়ে উঠেছে এক নতুন অভিজ্ঞতার পথ।





